গুজরাটের আমদাবাদের একটি হাসপাতালের এক নার্সের বিরুদ্ধে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ উঠল। ভিটামিন সিরাপের পরিবর্তে শিশুকে দেওয়া হল ফিনাইল। যার ফলে অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়ে ওই শিশু। এই ঘটনায় নার্সের বিরুদ্ধে শাহেরকোটদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিশুর বাবা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে আদৌও সেটি ফিনাইল ছিল কিনা তা জানার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি দিয়েও আসলেন না চিকিৎসক, অপেক্ষায় থেকে মৃত্যু হল যুবকের!
শাহেরকোটদা থানার অফিসার এমডি চন্দ্রাবাদিয়া জানান, তদন্তে গাফিলতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নার্স বা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। জানা গিয়েছে, ১১ মাস বয়সি তৈমুর নামের ওই শিশুকে শনিবার জ্বর এবং বমি নিয়ে শারদাবেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।সোমবার সকালে এক চিকিৎসক পরীক্ষা করার পরে একটি ভিটামিন সিরাপ লিখে দেন এবং হাসপাতালের একজন নার্স পরিবারের কাছে ভিটামিনের সেই বোতলটি দিয়েছিলেন। তৈমুরের মা ফয়জানবানুকে ওই ওষুধ দিনে তিনবার ৫ মিলি করে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, ওষুধের প্রথম ডোজ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে শুরু করে। তারপরেই চিকিৎসককে তিনি ডাকেন। তাঁর অভিযোগ যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তার গন্ধ ফিনাইলের মতো। শিশুর পরিবারের অভিযোগ, তাদের যে ওষুধের বোতল দেওয়া হয়েছিল সেটি সিল করা ছিল না এবং তাঁদের সন্দেহ তাতে ওষুধের পরিবর্তে ফিনাইল রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, ওষুধের ওই বোতল উদ্ধার করে ফরেন্সিকের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্য ধারায় মামলা রুজু করা হবে। অন্য কিছু হলে মামলা করা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শারদাবেন হাসপাতালটি পরিচালনা করে আহমেদাবাদ পুরসভা। অতীতেও এই হাসপাতালে অনেক গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। ২০১৮ সালে আমরাইওয়াড়ির একজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছিলেন, শারদাবেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলার কারণে তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছিলেন। হাসপাতালের তরফে তাঁকে জানানো হয়নি যে তাঁর স্ত্রী সোয়াইন ফ্লু এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও, ২০২০ সালের জুনে জ্বরে আক্রান্ত একজন রোগীকে ভুলভাবে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।