আজ সকাল সকাল গ্রেফতার করা হয়েছে খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে। পঞ্জাবের মোগা জেলার রোড়ে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। উল্লেখ্য, এই গ্রামেই জন্ম নিয়েছিল আরেক খালিস্তানি নেতা জার্নেল সিং ভ্রিন্দ্রানওয়ালের। এই ভ্রিন্দ্রানওয়ালেকেই নিজের 'আদর্শ' মনে করে অমৃতপাল। অমৃতপালকে ‘ভিন্দ্রানওয়ালে টু’ বলে আখ্যাও দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিন্দ্রানওয়ালেরই গ্রামের এক গুরুদ্বারে বসে অমৃতপাল সিং জানয় যে সে আত্মসমপর্পণ করতে চলেছে। পাশাপাশি সে এও হুঁশিয়ারি দেয় যে 'এটাই শেষ নয়'। তার সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে প্রাক্তন অকাল তখত জঠেদার জসবীর সিং রোড়ে জানিয়েছেন, অমৃতপাল সিং শনিবার গভীর রাতে রোড়ে গ্রামে পৌঁছায়। জসবীর সিং বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে অমৃতপাল আত্মসমর্পণ করতে চলেছে। তার আত্মসমর্পণের আগে আমি এখানে পৌঁছেছিলাম। প্রণাম ও পাঠের পর গুরুদ্বারে যায় অমৃতপাল। সেই সময় আত্মসমর্পণ করতে দেরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সে। তাকে যারা থাকতে দিয়েছে এবং যারা তাকে সাহায্য করেছে, তাদেরকে ধন্যবাদ জানায় অমৃতপাল। এরপর অমৃতপাল গুরুদ্বারের বাইরে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। অমৃতপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন খবর মিথ্যে। যদি পুলিশ জানত যে অমৃতপাল এখানে আছে, তাহলে তাকে এভাবে বক্তৃতা করতে দিত না।’
এর আগে গত মার্চ মাসে অমৃতপালকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশ। সেই সময় তার গ্রেফতারি নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। জানা গিয়েছে, খালসা ওয়াহিরের অংশ হিসেবে অমৃতপালের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল ভাতিন্ডার চৌকি গ্রামে। সেখানে যাওয়ার পথেই অমৃতপালকে গ্রেফতার করার প্রচেষ্টায় অভিযান চালায় পঞ্জাব পুলিশ। সেই সময় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বাইকে করে পালায় অমৃতপাল। তবে সেই অভিযানে অমৃতপালের ৭৮ জন অনুগামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অনেককেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অসমের দিব্রুগড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। অমৃতপালকেও সেখানেই রাখা হবে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসে অমৃতপাল তার সংগঠন 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র সদস্যদের নিয়ে অজনালা পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র আক্রমণ করে।