'ডাবর' সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক বড় অংশের স্টেক রয়েছে বর্মন পরিবারের হাতে। এদিকে, রেলিগেয়ার সংস্থাতে ২১ শতাংশ স্টেক রয়েছে বর্মন পরিবারের। এই বর্মন পরিবারই রেলিগেয়ার এন্টারপ্রাইজের সবচেয়ে বড়ে স্টেক হোল্ডার। এবার ‘ওপেন অফার’ এর মাধ্যমে তারা রেলিগেয়ার এন্টারপ্রাইজের নিয়ন্ত্রণ পেতে বাড়তি ২৬ শতাংশ স্টেকের ‘ওপেন অফার’ রেখেছে, যা ২,১১৬ কোটি টাকা পর্যন্ত।
এক বিবৃতিতে ডাবর ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আনন্দ বর্মন বলছেন, ‘এই প্রস্তাবিত লেনদেন আমাদের শীর্ষ আর্থিক পরিষেবা তৈরির দৃষ্টিভঙ্গির দিকে একটি পদক্ষেপ।’ উল্লেখ্য, এই পরিষেবার মাধ্যমে ঋণ দান, ব্রোকিং ও স্বাস্থ্যবীমার দিকে এগোনোর বার্তা দিয়েছে ডাবর। এদিকে, রেলিগেয়ারের বোর্ডে ডিরেক্টর নিয়োগ করার ক্ষমতা রয়েছে বর্মন পরিবারের। এছাড়াও রেলিগেয়ারের ম্যানেজমন্টের গঠনগত কাঠামো পরিবর্তনেও অংশ নেওয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে ডাবরের বর্মন পরিবারের। প্রতি শেয়ারের দাম ২৩৫ টাকা দরে ৯০ মিলিয়নের বেশি শেয়ার কেনার লক্ষ্যে রয়েছে ডাবরের বর্মন পরিবার। প্রসঙ্গত, প্যাকেজড পণ্যের সংস্থা ডাবর রেলিগেয়ারির মতো ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সংস্থায় বাড়তি ৫.২৭ শতাংশ স্টেক নেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে ছিল ৪০৭ কোটিতে। তারফলে আবশ্যিকভাবে বাড়তি ২৬ শতাংশ স্টেক কেনার ওপেন অফারের পথে হাঁটে বর্মন পরিবার। উল্লেখ্য, ওই আর্থিক পরিষেবা সংস্থার কোনও প্রমোটার নেই। সংস্থাটি চালান বিভিন্ন প্রফেশনালরা। আগে, ভ্রাতৃদ্বয় মালবিন্দর ও শিবিন্দর সিংরা এই সংস্থা চালাতেন।
রেলিগেয়ার ফিনভেস্ট ও রেলিগেয়ার এন্টারপ্রাইজে আর্থিক জালিয়াতির জেরে ভ্রাতৃদ্বয় মালবিন্দর ও শিবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বর্মন পরিবারের হাতে রেলিগেয়ারের ২১ শতাংশ স্টেক রয়েছে। আর তা রয়েছে এমবি ফিনমার্ট, পুরান অ্যাসোসিয়েটস, ভিআইসি এন্টারপ্রাইস, মিল্কি ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কম্পানির দ্বারা। এই সংস্থাগুলির মালিকানার অংশ রয়েছে আনন্দ ও মোহিত বর্মনদের হাতে, যাঁরা সম্পর্কে তুতো ভাই। এদিকে, বর্মন পরিবারের এই স্টেক দখলের এই দাবিকে কার্যত স্বাগত জানিয়েছে রেলিগেয়ার। তারা বলছে, ‘এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’