লোকসভা ভোটের আগে আয়কর পূনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত মামলায় বিরাট ধাক্কা খেল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তিনটি অর্থবর্ষে কংগ্রেসের আয়কর সংক্রান্ত পূনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে আয়ক বিভাগ। আয়কর দফতরের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে কংগ্রেস দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তবে কংগ্রেসের আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পিকে কৌরব, যশবন্ত বর্মার বেঞ্চ এদিন কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে দেয়। এদিকে, একাধিক রাজ্যে তল্লাশির পর আয়কর বিভাগের হাতে কিছু তথ্য এসেছে বলে জানা গিয়েছে ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে। আর সেগুলিকে হাতিয়ার করে এবার আয়কর বিভাগ কোমর কষছে বলেও খবর।
কংগ্রেসের আয়কর সংক্রান্ত পূনর্মূল্যায়ন ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ ঘিরে শুরু করে দিয়েছে আয়কর দফতর। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। তবে হাইকোর্টের রায়ে ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেসের আর্জি। কংগ্রেসের তরফে আদালতে এদিন সওয়াল জবাব পর্বে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর দাবি, ঠিক কতগুলি পুরনো বছর পর্যন্ত আয়কর দফতর এই পূনর্মূল্যায়ন করতে পারে, তার একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ৬ বছরের কথা উল্লেখ করে। যার পরই ইডি জানিয়েছে কোর্টে, যে তারা কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেনি। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে কংগ্রেসের আর্জি খারিজ করে দেয় কোর্ট।
এদিকে, ‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ র এক প্রতিবেদন বলছে, সদ্য মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাটে আয়কর তল্লাশি চলেছে। অভিযোগ ছিল সেখানে নগদ-অনুদান সম্পর্কিত কিছু দিক নিয়ে। অভিযোগ এও রয়েছে যে, ওই নগদ অনুদানের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক থাকতে পারে। ফলে ওই তল্লাশি থেকে পাওয়া তথ্য আপাতত কংগ্রেসের ৭ বছরের আয়কর সংক্রান্ত পূনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার আয়কর দফতরের কাছে। আয়কর তল্লাশিতে উঠে এসেছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নাম। যে সংস্থার সঙ্গে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তাবড় কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারের নাম জড়াচ্ছে বলে খবর। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের তথ্য সামনে এসেছে। যে সমস্ত অভিযোগ ঘিরে দিল্লি হাইকোর্টে আয়কর বিভাগের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা ঠুকেছিল কংগ্রেস। সেই মামলাই খারিজ হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত সাত বছরের আয়কর সংক্রান্ত রিটার্নের পর্যালোচনা করেই পদক্ষেপ করেছে দফতর। সূত্রের দাবি, তদন্তে এখনও পর্যন্ত পার্টির একাধিক প্যান নম্বরও উঠে এসেছে। ফলে সব দিক থেকেই কার্যত ফোকাস বাড়াচ্ছে আয়কর বিভাগ।