পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ফের ইরানের হামলা। জঙ্গি শিবির জইশ অল আদিলের কমান্ডার ইসমাইল শাহবাক্স ইরানের এই হামলায় মারা গিয়েছে বলে খবর। শুধু শাহবাক্সই নয়, তার সঙ্গে তার একাধিক শাগরেদও পাকিস্তানের মাটিতে ইরানের হামলায় মারা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এক মাস আগেই পাকিস্তানের জমিতে ইরানের এয়ার স্ট্রাইকের খবর আসে। তারপর পাল্টা পাকিস্তানও এয়ারস্ট্রাইকে নিশানা করে ইরানের ভূখণ্ড। সেই ঘটনার পর ফের একবার পাক জমিতে ইরানের হানা। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসাবে উঠে আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সদ্য পাকিস্তানি জমিতে ইরানের এই হানা নিয়ে সেভাবে সরকারি তরফে বিবৃতি উঠে আসেনি। তবে ‘ইরান ইংলিশ ইন্টারন্যাশনাল’-এর খবর অনুযায়ী পাওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, জঙ্গি গোষ্ঠী 'জইশ অল আদিল' যার অর্থ, ন্যায়ের জন্য গঠিত সেনা, তারা বহুদিন ধরেই ইরানের সেনার নজরে রয়েছে। এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীকে টার্গেট করেই পাকিস্তানের বুকে ইরান হামলা চালিয়েছে। এদিকে, একই কারণে এক মাস আগেও, পাকিস্তানের জমিতে ইরানের হানার খবর আসে। যা ভোলাভাবে নেয়নি ইসলামাবাদ। তারাও পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক চালায়। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে সহমত পোষণ করে দুই দেশই।
এদিকে, জানা যাচ্ছে, এবারের হামলায় ইরানের সেনা সশস্ত্রভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে। ইরানের সেনার তরফে এই হামলায় দুই পক্ষের লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ইসমাইল শাহবক্স সহ অনেকে। বহুদিন ধরে ইরান এই জইশ আল আদল জঙ্গি গোষ্ঠীকে টার্গেটে রেখেছে। দেখে নেওয়া যাক ইরানের বুকে এরা কীভাবে কর্মকাণ্ড চালায়।
জইশ আল আদল
ইরানের নিশানায় থাকা জইশ আল আদল গোষ্ঠী ২০১২ সালে তৈরি হয়। গোষ্ঠীকে ইরান ‘জঙ্গি’ কমা দিয়েছে। ইরানের দক্ষিণ পূর্বে সিস্তান বালুচিস্তানে সুন্নি গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে এই উগ্রপন্থী শিবির তৈরি হয়েছে বলে খবর। এই তথ্য দিচ্ছে আল আরাবিয়া নিউজ। গত কয়েক বছর ধরে এই জইশ আল আদল ইরানের সেনার ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। সিস্তান-বালুচিস্তানে সেখানের পুলিশের ওপর হামলার দায়ও শিকার করে তারা। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
এদিকে, পাকিস্তানের বুকে কিছু জায়গায় এই ইরানের তকমা দেওয়া জঙ্গি গোষ্ঠীর শিবিরগুলিতে ইরান হামলা চালাতে থাকে। গত মাসেই ইরানের একটি হামলার পর পাকিস্তানও পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক করে। তবে এবারের হামলা মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়েছে বলে খবর। এই প্রেক্ষিতে ইরান বা ইসলামাবাদ কেউই মুখ খোলেনি এখনও।