দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, কলকাতার নেহরু চিলড্রেন মিউজিয়াম, কলকাতার জওহরলাল নেহরু রোড- ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়াম এবং বিশ্ববিদ্যালয় আছে। শুধু দেশেই নয়, চাঁদেও জওহরলাল নেহরুর নামাঙ্কিত একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। যে জায়গার নামকরণ ২০০৮ সালে করা হয়েছিল। সেইসময় চন্দ্রযান-১ পাড়ি দিয়েছিল চাঁদে। আর ভারতে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) জোট।
চাঁদের কোথায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর নামাঙ্কিত জায়গা আছে?
ইসরোর প্রথম চন্দ্রাভিযান তথা চন্দ্রযান ১-র ‘ইমপ্যাক্ট প্রব’-র নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জওহর পয়েন্ট’। ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে, শ্যাকলটন ক্রেটারের (যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবস্থিত) কাছে একটি অঞ্চলের নাম ‘জওহর পয়েন্ট’ দিয়েছিল ভারত। সেই 'ইমপ্যাক্ট সাইট'-র নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জওহর পয়েন্ট’। অর্থাৎ চাঁদের মাটিতে 'ইমপ্যাক্ট প্রব'-কে (মুন ইমপ্যাক্ট প্রব বা এমআইপি) চিহ্নিত করতে সেই নাম দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Chandrayaan 3 Landing: 'দম বন্ধ করা ২০ মিনিট', চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের আগে বুক কাঁপবে ভারতের
চন্দ্রযান-৩ ইতিবৃত্ত
গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-৩। ইতিমধ্যে প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ল্যান্ডার মডিউল। যা আগামী বুধবার (২৩ অগস্ট) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪ মিনিট নাগাদ চাঁদে অবতরণ করবে ল্যান্ডার। যে ল্যান্ডারের পেটের মধ্যে আছে রোভার। সেই রোভার চাঁদের একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখবে।
চাঁদের যেখানে ল্যান্ডারের অবতরণের কথা আছে, সেই দক্ষিণ মেরুতে এখনও কোনও দেশের পা পড়েনি। ইতিমধ্যে আমেরিকা, পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিন চাঁদে অবতরণ করলেও সকলেই পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের নিরক্ষীয় অঞ্চলে পা দিয়েছে। যদি বুধবার ল্যান্ডার সাফল্য লাভ করে, তাহলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের নজির গড়বে ভারত। আর ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে আছেন বিশ্বের কোটি-কোটি মানুষ। এমনকী মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও অধীর আগ্রহে ইসরোর মিশনের অপেক্ষা করছে।