এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তলবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডি-র পাঠানো নোটিশকে তিনি অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন। এই নোটিশের পিছনে অভিপ্রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইডিকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছে, তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে রাজি তিনি।
এক আপ নেতা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘ইডি-র তদন্তে সহযোগিতা করতে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে নোটিশ পাঠানো সম্পর্ণ অবৈধ। ওদের উদ্দেশ্য হল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা। ওরা তাঁকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রাখতে চায়।’
আবগারি নীতির সঙ্গে যুক্ত মানি লন্ডারিং মামলায় ইডি ৩ জানুয়ারি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি সমন জারি করেছিল। এই নিয়ে তৃতীয়বার কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হতে অস্বীকার করলেন। এর আগে তাঁকে দুটি সমন পাঠানো হয়েছিল ২ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর।
এই তলব এড়ানোর প্রসঙ্গে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার দাবি, কেজরিওয়ালের আচারণই বলে দিচ্ছে, তাঁর লুকানোর মতো এমন কিছু আছে এবং সে কারণেই তিনি পলাতকের মতো আচরণ করছেন।’
বিজেপি নেতা আরও বলেন, ‘আদালত মণীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিংকে জামিন দেয়নি। আদালতগুলি বলে দিচ্ছে এর মধ্যে টাকার লেনদেন রয়েছে। এতো কিছু থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এড়ানোর খেলা খেলে চলেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার, আম আদমি পার্টির (আপ) জাতীয় মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কক্কর বলেছিলেন, যে কেজরিওয়ালের কাছে ইডির সমন নিয়ে দল আইনের পথে চলবে। সাংবাদিক সম্মেলনে কক্করকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেজরিওয়াল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র সামনে হাজির হবেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের আইনি টিম এই প্রশ্নের উত্তর দিতে আরও ভালভাবে প্রস্তুত। আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করব।’
(পডুন। কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় হেমন্ত সোরেনের মিডিয়া উপদেষ্টার বাড়িতে ED-র তল্লাশি)
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তৎকালীন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে বর্তমানে বাতিল হয়ে যাওয়া দিল্লির নতুন আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করে। আপ-এর রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিংকেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে একই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।