বুধবার সকালে ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালালো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মিডিয়া উপদেষ্টা অভিষেক প্রসাদের বাসভবন রয়েছে। এছাড়া আইএএস অফিসার রামনিবাস যাদব এবং সাহেবগঞ্জ জেলার ডেপুটি কমিশনার-সহ একাধিক স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সূত্রে খবর, রাজ্যে অবৈধ কয়লা খনি কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ লেনদেন মামলার তদন্তে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাঁচিতে প্রসাদ ওরফে পিন্টুর বাসভবন ছাড়াও সাহেবগঞ্জ এবং রাজস্থানে যাদবের সাথে যুক্ত অবস্থানগুলিও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
(পডুন: ‘অনেকেই করে থাকেন…’, সাংসদপদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বীকারোক্তি মহুয়ার)
অন্যদের মধ্যে রাঁচিতে স্থপতি বিনোদ কুমারের বাড়ি, সাহেবগঞ্জে ব্যবসায়ী খোদানিয়া ভাইদের বাড়ি, হাজারিবাগে ঝাড়খণ্ড পুলিশের ডিওয়াইএসপি রাজেন্দ্র দুবের বাসভবন ইডির তল্লাশির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, কলকাতার একজন অভয় সারোগীর সাথে যুক্ত অবস্থান এবং রাঁচি কেন্দ্রীয় কারাগারে নিযুক্ত সিপাহী অবধেশ কুমারের রাঁচির বাসভবনও তল্লাশি করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের বারোটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে সমন পাঠায় ইডি। বেআইনি জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু তিনি সেই সমনকে বেআইনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও একাধিক মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠায় ইডি। কিন্তু তিনি প্রতিবারই সেই সময় এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন পুরো ঘটনা নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করছে ইডি।
কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২২ সাল থেকে, রাজ্যে অবৈধ খনি কেলেঙ্কারির ঘটনায় ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।