কেরলে ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় এবার নয়া মোড়। স্পেশাল ইনভেশটিগেশন টিম এই ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সিটের তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, ২৭ বছর বয়সি শাহরুখ সইফি নামে ওই অভিযুক্ত অত্যন্ত চরমপন্থী একজন যুবক। তার মোবাইল ফোনে বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক জাকির নায়েক ও পাকিস্তানি তাত্ত্বিক ইসরার আহমেদের বক্তব্যের ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।
কোঝিকোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এডিজিপি এমআর অজিত কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নানা ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে। সে অত্যন্ত চরমপন্থী মনোভাব পোষন করছে। তবে ট্রেনে আগুন ধরানোর পেছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা নিয়ে তিনি খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। ওই যুবক স্থানীয়দের কাছ থেকে কোনও সহায়তা পেয়েছেন কি না তা নিয়ে তিনি কিছু জানাতে চাননি।
এডিজিপি জানিয়েছেন, আমরা তার যাতায়াতের বিস্তারিত বিবরণ পেয়েছি। দিল্লি থেকে সে শোরনুরে এসেছিল। এরপর অপরাধ সংগঠিত করে ফিরেও যায়। তার ব্যাক গ্রাউন্ড অনুসারে জানা যাচ্ছে সে অত্য়ন্ত রাডিকালাইজড। জাকির নায়েক ও ইসার আহমেদের একাধিক ভিডিয়ো তার মোবাইল থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে তিনি অন্য কারোর কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন কি না সেটা এখনই বলার সময় আসেনি।
সিটের কর্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক অপরাধ করার জন্যই কেরলে এসেছিলেন। আগুন ধরানোর পরিকল্পনা তার ছিল। তবে কেরলের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কাছ থেকে সে কোনও সহায়তা পেয়েছিল কি না সেটা দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জেনেছে সে একাই কোঝিকোড়ে এসেছিল। দিল্লি থেকে কোঝিকোড় আসার টিকিট কেটেছিল। এরপর শোরনুর স্টেশনে ট্রেনে সে আগুন ধরায়। পরে সেই স্টেশনে অন্তত ১২ ঘণ্টা সে অপেক্ষা করেছিল।
গত ২ এপ্রিল অভিযুক্ত যুবক আচমকা কান্নুরগামী এক্সিকিউটিভ এক্সপ্রেসের ডি১ কামরায় যাত্রীদের গায়ে পেট্রল ছিটিয়ে দেয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। তার জেরে তিন জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্য়ে এক শিশুও ছিল। তারা আতঙ্কে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। আরও ৯জন আগুনে পুড়ে যায়। এরপর দুদিন পরে রত্নগিরি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে কেরলে নিয়ে আসা হয়েছিল।
অপর এক অফিসার জানিয়েছেন, পুরো পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। এটা জঙ্গিবাদের ঘটনা। আরও তিনটি রাজ্যে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।