আব্রাহাম থমাস
চার রাউন্ডের কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও প্রায় ২,১৮২টি এমবিবিএস আসন ফাঁকা রয়েছে। ফের একটি অতিরিক্ত কাউন্সেলিং করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার এব্যাাপারে বিশেষ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এমবিবিএসের ফাঁকা আসনগুলি জনস্বার্থে পূরণ করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে আমরা জনস্বার্থে আর একটা কাউন্সেলিং করার জন্য অনুমতি দিচ্ছি। দু সপ্তাহের মধ্যে এটা করতে হবে।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষবার ডাক্তারিতে ভর্তির সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরেও সব আসন পূরণ হয়নি। এরপরই এনিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ এমবিবিএসের আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমবিবিএসের একটা আসন মানে একজন করে আগামী দিনের চিকিৎসক বলে ধরা হয়। সেই আসন ফাঁকা থাকা মানে একজনের চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এরপরই বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা আবেদনগুলি দেশের শীর্ষ আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই এনিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
কার্যত জনস্বার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি জানিয়েছেন, জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সরকার আদালতে এসেছিল। গোটা দেশের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও বেসরকারি ইনস্টিটিউটে ডাক্তারির আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেই আসনের সংখ্য়া সব মিলিয়ে ২,১৮২টি। ২৫ শে অক্টোবর পর্যন্ত এই সংখ্য়ক আসন ফাঁকা ছিল ডাক্তারিতে। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষেতে এবার তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে অন্তত এই আসনগুলি পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। এই ঘটনায় একাধিক রাজ্য সরকারও আশার আলো দেখছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এমবিবিএসের ফাঁকা আসনগুলি জনস্বার্থে পূরণ করার আবেদন করা হয়েছিল। তবে আমরা জনস্বার্থে আর একটা কাউন্সেলিং করার জন্য অনুমতি দিচ্ছি। দু সপ্তাহের মধ্যে এটা করতে হবে।