ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার ঠিক আগে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন। কংগ্রেসের দাবি, মিলিন্দের কংগ্রেস ত্য়াগের পেছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত রয়েছে। এনিয়ে মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, দেওরা শুক্রবারই আমায় মেসেজ করেছিলেন। দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা আসনটা নিয়ে তিনি উদ্বেগে ছিলেন। কারণ ওই আসন থেকেই দেওরা ও তাঁর বাবা জিততেন।
জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে আমায় মেসেজ করেছিলেন তিনি( মিলিন্দ দেওরা)। এরপর আবার ২টো ৪৭ মিনিটে করেন। আমি বলেছিলাম তুমি কি অন্য কোথাও যেতে চাও? তিনি বলেছিলেন, আপনার সঙ্গে কি কথা বলা যাবে? এরপর ৩টে ৪০ মিনিটে আমি ফোন করি।
তিনি বলেন ওই আসনটা শিবসেনার আসন। তিনি এনিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তাঁর পরিস্থিতিটা তিনি জানাতে চান। সেই সঙ্গেই তিনি চাইছিলেন তার পরিস্থিতিটা যেন আমি রাহুল গান্ধীকে বলি। সেই সঙ্গেই দলত্যাগের কথা জানান তিনি। আর গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করবেন বলেও তিনি জানান।
তবে মিলিন্দের বাবার সঙ্গে তাঁর আগের পরিচয়ের কথা উল্লেখ করেন জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, মুরলি দেওরা সমস্ত ওঠানামার মধ্য়েও কংগ্রেস ছেড়ে যাননি।
মিলিন্দ লিখেছিলেন,'আজ আমার রাজনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। আমি কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কংগ্রেস পার্টির সাথে আমার পরিবারের ৫৫ বছরের সম্পর্ক শেষ করছি। বছরের পর বছর ধরে আমাকে অটল ভাবে সমর্থন করার জন্য আমি সমস্ত নেতা, সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ।'
সম্প্রতি আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলাকালীন উদ্ধবপন্থী শিবসেনা দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা আসনটি চেয়েছিল। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন মিলিন্দ দেওরা। এই আবহে তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা শুরু হয়। এই আবহে প্রামিক ভাবে জল্পনা উড়িয়ে দিলেও মিলিন্দ ইঙ্গিতবহ ভাবে বলেন, 'আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছি।' উল্লেখ্য, মিলিন্দ দেওরা দক্ষিণ মুম্বই কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ।
এর আগে কংগ্রেসে থাকাকালীনই দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে উদ্ধব শিবিরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল মিলিন্দের। এক ভিডিয়ো বার্তায় উদ্ধব গোষ্ঠীর শিব সেনাকে সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেছিলেন, 'যদি আমাদের জোট সঙ্গীরা উস্কানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত না থাকেন, তাহলে আমার দলও একতরফা ভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে। সেই সময় মিলিন্দ জানিয়েছিলেন, আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা এখনও বাকি আছে। এই আবহে কোনও আসন নিয়েই কারও আগ বাড়িয়ে কোনও দাবি জানানো উচিত নয়। তবে শনিবার পর্যন্ত কংগ্রেসে থাকার কথা বলেও রবিবার সকাল সকাল দল ছাড়ার ঘোষণা করেন মিলিন্দ।