বাজেটে নয়া কর কাঠামো প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রতিটি স্ল্যাবে এরফলে কম আয়কর দিতে হবে, কিন্তু আগের মতো বিভিন্ন যে ছাড়গুলি ছিল ৮০ সি-র আওতায়, সেগুলি লুপ্ত হয়েছে। তবে কেউ চাইলে পুরনো কর কাঠামো অনুযায়ীও রিটার্ন ফাইল করতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন খাতে ছাড়ের ব্যবস্থা আছে। এবার দেখা যাক এম্প্লয়ার্স প্রভেডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রে কী নিয়ম চালু হল।
সংস্থারা বেসিক ও ডিএ মিলিয়ে যা অর্থ হয়, তার ১২ শতাংশ কেটে নেয় কর্মচারীদের মাইনে থেকে EPF খাতে জমা দেওয়ার জন্য। সমপরিমাণ অর্থ সংস্থারাও কর্মীদের EPF অ্যাকাউন্টে জমা করে।
এবার দেখা যাক EPF deduction নিয়মে কোনও বদল হচ্ছে কিনা-
১. বর্তমান কর কাঠামোয়, কোম্পানিরা যেই টাকা কেটে EPF অ্যাকাউন্টে রাখে, ১২ শতাংশ অবধি তা করমুক্ত হয়। ১২ শতাংশের বেশি হলে ওই টাকার ওপর কর দিতে হয়। এই নিয়মে কোনও বদল আসছে না।
২.EPF ফান্ডে কর্মীরা যে টাকা দেয়, সেটা যদি বেসিকের ১২ শতাংশ অবধি হয়, সেটার ওপর আয়করের ৮০ সি ধারায় ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু নতুন কর কাঠামোয়, ৮০সি র আওতায় কর ছাড় মিলবে না।
৩. বাজেটে আরেকটি নিয়মের কথা বলা হয়েছে সেটার অন্তর্গত employer contribution যদি NPS,সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ড ও EPF মিলিয়ে বছরে ৭.৫ লক্ষের বেশি হয়, তাহলে তার ওপরে ট্যাক্স দিতে হবে। নতুন ও পুরনো, দুটি কর কাঠামোতেই এই নিয়ম লাগু।
নয়াকর কাঠামোয় প্রায় সব ছাড় উঠিয়ে দিলেও 80CCD (2)-র আওতায় NPS-এ ছাড়ের ব্যবস্থা এখনও আছে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এটির ঊর্ধ্বসীমা মাইনের ১৪ শতাংশ, অন্যদের জন্য মাইনের ১০ শতাংশ।