ভারতীয় রাজনীতিতে খেলা ঘুরিয়ে দেবে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের মিটিং। এমনটাই দাবি করছে কংগ্রেস। এদিকে সেই মিটিং থেকে জোটের সুর কতটা বাঁধতে পারবেন বিরোধীরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। সেই সঙ্গেই কংগ্রেস একেবারে সাফ বার্তা দিয়েছে এবার আর এদিকেও নই ওদিকেও নই, এমন অবস্থান নেওয়া যাবে না । এবার তাদের জানিয়ে দিতে হবে তারা কোন পক্ষে রয়েছেন। বিআরএস, বিজেডি, ওয়াইএসআরসিপির কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে তারা।
সোমবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর মিটিংয়েই বিরোধী দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা ভারতীয় রাজনীতিতে এবার খেলা ঘুরিয়ে দেবে।
সব মিলিয়ে ২৬টি দল এতে অংশ নিচ্ছে। সেই পার্টির তালিকায় যে নামগুলি রয়েছে সেগুলি হল, কংগ্রেস, ডিএমকে, তৃণমূল কংগ্রেস, জনতা দল(ইউনাইটেড), আরজেডি, এনসিপি, শিবসেনা( ইউবিটি), সিপিআইএম, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, ন্যাশানাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিআইএমএল, জেএমএম. আপ, রাষ্ট্রীয় লোকদল, এমডিএমকে, ভিসিকে,আরএসপি, কেডিএমকে, ফরওয়ার্ড ব্লক, আইইউএমএল, কেরালা কংগ্রেস(জে), কেরালা কংগ্রেস (মণি), আপনা দল (কামেরাওয়াড়ি) ও এএমকে।
বেনুগোপাল জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর এই মিটিং বিরোধীদের একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। সাধারণ মানুষ যে সমস্যার মধ্য়ে পড়ছেন তা দূর করতে সহায়তা করবে। এই মিটিংয়ে আগামী পরিকল্পনা ঠিক হবে।
তবে তিনি জানিয়েছেন, ২৬টি দল রয়েছে। একাধিক ইস্যুতে একমত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেব। তবে কংগ্রেস একলা কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না।
বেকারত্ব, খাদ্য় সংকট, সিবিআই ইডির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হবেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে পার্লামেন্টেও এই ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি করবেন না। মণিপুর হিংসা, বেকারত্ব, খাদ্য় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এই ইস্যুগুলি বিরোধীদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গণতন্ত্র রক্ষায়, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায়, আমাদের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজেন্সি লাগিয়ে সরকার বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া তারই নজির। তারা সিবিআই ইডি লাগিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে ভেঙে দিতে চাইছে।
৭৫ দিন ধরে জ্বলছে মণিপুর। কিন্তু নীরব রয়েছেন মোদী। দাবি কংগ্রেসের। আর কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার জানিয়েছেন, শুরুটা খুব ভালো হচ্ছে। বেণুগোপাল জানিয়েছেন, জোটের নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে আসন সমঝোতা এক-দুটি মিটিংয়ে হবে না।