এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবতী এবং তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। তবে ওই যুবককে যে কারণে খুন করা হয়েছে তা জানার পর কার্যত হতবাক পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয়রা। একটি পানের দোকানে সিগারেট খাচ্ছিল ওই যুবতী। সেই অবস্থায় বার বার যুবতীর দিচ্ছে তাকাচ্ছিলেন ওই যুবক। শুধুমাত্র সেই অপরাধে যুবককে খুন করা হল। এমনই হতবাক করার ঘটনা ঘটল নাগপুরের মানেওয়াদা সিমেন্ট রোডে। মৃতের নাম রঞ্জিত রাঠোর। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জমি বিবাদের জেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিটিয়ে খুন করল কাকা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে। জয়শ্রী নামে ওই যুবতী নাগপুরের মানেওয়াদা সিমেন্ট রোডে ওই পানের দোকানে ধূমপান করছিল। সেই সময় ৪ সন্তানের বাবা ২৮ বছর বয়সি রঞ্জিত রাঠোর যুবতীকে ধূমপান করতে দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। তাই বার বার জয়শ্রীর দিকে তাকাচ্ছিলেন। তবে সেই তাকানোকে মোটেও ভালভাবে নেয়নি জয়শ্রী। এভাবে বারবার তাকানোর ফলে ক্রমেই রঞ্জিতের ওপর সে বিরক্ত হতে থাকে। একসময় এনিয়ে জয়শ্রীর সঙ্গে রঞ্জিতের বচসা বাঁধে। তখন রঞ্জিতকে জয়শ্রী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে এবং সিগারেটের ধোঁয়া রঞ্জিতের দিকে ছাড়তে থাকে। তখন রঞ্জিত তার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে থাকেন। সেই সময় জয়শ্রীর সঙ্গে ছিলেন তার এক বান্ধবী।
তবে সেই সময়ের মতো ঝামেলা থেমে যায়। ঝগড়ার পরে জ্ঞানেশ্বর নগরে নিজের বাড়ির দিকে রওনা দেন রঞ্জিত। এদিকে, জয়শ্রীর রাগ মোটেও কমেনি। তখন সে তার বন্ধু আকাশ রাউত এবং জিতু যাদবকে ডাকে। এরপর তারা সেখানে চলে এসে রঞ্জিতকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, এরপরেই ছুরি দিয়ে রঞ্জিতকে বার বার আঘাত করে জয়শ্রী। তার জেরে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পরে রঞ্জিত। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে। তাতে দেখা যায়, জয়শ্রী বারবার রঞ্জিতকে ছুরি মারছে।
খুনের পরেই ৪ জন দত্তওয়াড়িতে পালিয়ে যায় এবং তারপর কলমেশ্বরের কাছে মহোপায় আত্মগোপন করে। সিনিয়র ইন্সপেক্টর কৈলাশ দেশমানে জানিয়েছেন, তল্লাশি অভিযান চালানোর পর জয়শ্রী, সবিতা এবং আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ এবং রঞ্জিতের ফোনের ফুটেজকে মূল প্রমাণ হিসাবে বিবেচনা করছে পুলিশ। দত্তওয়াড়িতে তল্লাশির সময় পুলিশ এক অভিযুক্তের ফোনে মাদকের ছবি সহ বিভিন্ন আপত্তিকর সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। এই ঘটনার পরেই গভীর রাতে পান দোকান খোলা রাখা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে।