বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলা হলেও আসল সাম্প্রদায়িক হল সিপিএম। তাদের নেতা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসন খুঁজে খুঁজে ভোটে লড়তে যান। বৃহস্পতিবার বিকেলে যাদবপুর কেন্দ্রের রানিকুঠিতে বিজেপির নির্বাচনী সভায় এই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ২০২১ সালে ভোট কেটে পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছে সিপিএম।
আরও পড়ুন: ব্যক্তি মমতা নন, তাঁর রাজনীতিকে বোঝাতে চেয়েছি, ‘মৃত্যুকামনা’ প্রসঙ্গে অভিজিৎ
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘সিপিএমের কাজটা কী বলুন তো? ২১ সালে এই যে চোরেদের দল, চোরেদের সরকার, অত্যাচারী সরকার, নারী নির্যাতনকারী সরকার, সর্বত্র লুঠ করা সরকার, এই সরকারটা আনার পিছনে সিপিএমের সব থেকে বেশি অবদান ছিল। এরা ২১এর ভোটে কী বলেছে? এই যাদবপুরের খেঁকশিয়াল না নকশাল। এই সেকু আর মাকুরা মিলে সব সভাতে গিয়ে বলেছে, নো ভোট টু বিজেপি, নো ভোট টু মোদী। এরা কেউ নো ভোট টু তৃণমূল বলেনি। আমরা বরং সব সভায় গিয়ে বলি, নো ভোট টু মমতা। এটা বিধানসভার ভোট নয়। কিন্তু এরাজ্যে ১৮টাকে যদি ডবল করে দেন ৬ মাসের মধ্যে এই সরকারটাকে বঙ্গোপসাগরে ফেলার কাজ আপনাদের বিরোধী দলনেতা করবে’।
উপস্থিত জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘সিপিএমকে একটি ভোটও নয়। যখন বিপদে পড়ে বাচ্চাগুলোকে এগিয়ে দেয়। আমরা যারা মমতা ব্যানার্জি আর তার অত্যাচারী ভাইপোর থেকে বাংলাটাকে বাঁচাতে চাই তারা সবাই মিলে বলি, নো ভোট টু মমতা। তার পর মানুষই ঠিক করে দেবে কাকে আনবে। এই সিপিএম ৫০ – ৬০টা আসনে সনাতনী, উদ্বাস্তু, নমঃশূদ্র, দের ভোট কেটে তৃণমূলকে পিছনের দরজা দিয়ে আনিয়েছে’।
সিপিএম নেতাদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এবার এদের কোনও বয়স্ক নেতা নির্বাচনে লড়েনি। আর এদের যে প্রধান নেতা মহম্মদ সেলিম সাহেব। তিনি সব সময় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ভোটে লড়েন। আগে রয়গঞ্জে লড়ে হেরেছেন। এবার বেছে বেছে যেখানে সংখ্যালঘু ভোট বেশি আছে সেখানে গেছেন। আমরা তো মঞ্চে দাঁড়িয়ে জয় শ্রী রাম করি। আমরা রামচন্দ্রকে ভগবান মানি। কিন্তু সংখ্যালঘুদের বলি তোমরা জয় শ্রী রাম বলবে না। তোমাদের রাম রাজ্য দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। রামরাজ্য মানে হাতে কাজ, পেটে ভাত, মাথায় ছাদ'।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মৃতপ্রায় দশা, বললেন লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী
এর পরই সিপিএমকে সাম্প্রদায়িক বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দুবাবু। বলেন, 'আর যে সিপিএম ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে তার নেতা মুর্শিদাবাদে যায়। মহম্মদ সেলিম সাহেব ২০০৪ সালে উত্তর কলকাতার সাংসদ ছিলেন। কেন লড়লেন না। দক্ষিণ কলকাতায় লড়তে পারতেন। সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপড়ে ফেলতে চাইলে তাঁর বাড়ির সিটে লড়লেন না কেন? হিসাব করে দেখেছেন ৭২ শতাংশ সংখ্যালঘু বাস করে মুর্শিদাবাদে। তাই বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল নয়। সাম্প্রদায়িক দল কেউ থাকলে তার নাম সিপিআইএম। সংখ্যালঘু দেখে দেখে নির্বাচনে লড়তে গেছে’।