তৃণমূলের মৃতপ্রায় দশা। কোনও বিজেপি নেতা নন, লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে একথা বলতে শোনা গেল তৃণমূল প্রার্থীকেই। বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ায় দলের জেলা কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অরূপবাবু সত্যি কথা স্বীকার করে ফেলেছেন বলে তাঁকে আক্রমণ করেছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার।
আরও পড়ুন: প্রচারে ব্যস্ত, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন না মহুয়া মৈত্র
বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে অরূপবাবু বলেন, ‘একজোট হয়ে দল করতে পারলে থাকবেন, নইলে চলে যান। দলের এই মুমূর্ষু অবস্থায় আমি ভাগাভাগি করতে দেব না। প্রয়োজনে বিক্ষুব্ধদের পায়ে ধরব। এখন একটা সঙ্কট চলছে। কে বড় কে ছোট দেখার সময় নেই। মান অভিমান সরিয়ে রেখে সবাই এক জোট হয়ে লড়াই করুন।’
তাঁর বক্তব্য নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকে ভুল বুঝে অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা আমাদের দলের সম্পদ। কানও আচরণে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব। কিন্তু তাদের সঙ্গে নিয়েই লড়াই করব।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল
অরূপবাবুর মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, ‘উনি তৃণমূলের আসল অবস্থাটা বলে ফেলেছেন। ময়দানে নামার আগেই তো হার মেনে নিয়েছেন। আর কী বলব?’
বলে রাখি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোষ্ঠীদ্বন্দে বাঁকুড়ায় জেরবার হতে হয়েছিল তৃণমূলকে। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। সেই প্রবণতা রুখতে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থীদের আর দলে ফেরানো হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন। দলের দুর্দিনে এখন তাদেরই পায়ে ধরতে রাজি বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী।