'নো ডিউজ' জমা দিতে পারেননি, তাই বাতিল হয়ে গিয়েছে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক দেবাশিস ধরের মনোনয়ন। আদালতে গিয়েও সুরাহা হয়নি। হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট, উভয়ই নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে। এই ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসল কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী চাকরি ছেড়ে নির্বাচনে লড়তে চাইলে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
দিল্লিতে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর, তা বাতিল হয়। কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট জমা দেননি, সে কারণে বাতিল হয়েছে তাঁর মনোনয়ন। বীরভূমে দেবাশিস ধরকে প্রার্থী করে জোর কদমে প্রচারে নেমে গিয়েছিল বিজেপি। দেওয়াল লেখাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, তা আন্দাজ করেই দেবতনু ভট্টাচার্যকে নামানো হয় ময়দানে। তিনি মনোনয়ন জমা দেন। তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ভোটে লড়ছেন।
আরও পড়ুন। দেবাশিস ধরকে ঠাণ্ডা করতে উদ্যোগ নিল বিজেপি, আনা হল দলের রাজ্য কমিটিতে
কী এই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট?
‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট না থাকার জেরেই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে দেবাশিস ধরের। কী এই ‘নো ডিউজ’ সার্টিফিকেট বুঝে নেওয়া যাক। সরকারি চাকরি ছেড়ে ভোটে লড়তে হলে অন্যান্য শংসাপত্র জমা দেওয়ার পাশপাশি আগের ১০ বছরের সরকারের কাছে কোনও বকেয়া আছে কিনা তা জানাতে হয়। বিদ্যুতের বিল, বাড়ি ভাড়া, জলের বিলের মতো বিষয়গুলি কোনও বকেয়া আছে কিনা তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হয়। যদি সরকারের কোনও কিছু পাওনা না থাকে তবে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট দেয়। বকেয়া থাকলেও তা মিটিয়ে সেই শংসাপত্র নিতে হয়। না হলে শুধু মনোনয়ন নয় সমস্যায় পড়তে হয় অবসরকালীন সরকারি সুবিধা পেতে।
দেবাশিস ধরের ঘটনার পর বিষয়টি চর্চার মধ্যে আসে কমিশনের। তার পর রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইস্তফা দেওয়া কর্মীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ''নো ডিউজ' সার্টিফিকেট' দিতে হবে।
আর পড়ুুন। ‘এখানের সাংসদ তাঁতশিল্প নিয়ে উদ্যোগ দেখায়নি’, কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুকুটমণি
আর পড়ুন। ‘হিন্দু ভোট হারানোর ভয়ে আমাকে INDIA জোটে নেওয়া হয়নি’ বিস্ফোরক অভিযোগ আজমলের