Dadagiri 10: ‘ফ্যানটাস্টিক স্যার…’, করোনার ভ্যাকসিন বানানো বিজ্ঞানী দাদাগিরিতে! দিল্লি এপিসোডে উচ্ছ্বসিত সৌরভ

গত সপ্তাহেই দিল্লিতে দাদাগিরির শ্যুটিং করে এলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দু দিনে আসবে দুটি এপিসোড। এল তারই প্রোমো।

দাদাগিরির দিল্লি এপিসোডের প্রোমো এল প্রকাশ্যে।

বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গেম শো দাদাগিরি পৌঁছে গিয়েছে রাজধানী শহর দিল্লিতে। সেখানে দিনকয়েক আগেই শ্যুটিং করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অ্যান্ড টিম। আর এবার এল সেই এপিসোডেরই প্রোমো।

বর্তমানে চলছে দাদাগিরির ১০ নম্বর সিজন। আর এবারের থিম বাঙালি লড়ে বাঙালি গড়ে, বাঙালি আজও দাদাগিরি করে। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত মানুষদের এবার সম্মান জানানো হল দাদাগিরির মঞ্চ থেকে। কদিন আগেই হাওড়া-মেদিনীপুর লাইনের একমাত্র মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা এসেছিলেন কলকাতার দাদাগিরির সেটে।

আর দিল্লিতে সৌরভের শো আরও উজ্জল করলেন ভারতের এই বিজ্ঞানী। ডা. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বানিয়েছেন করোনার ভ্যাকসিন। তাঁর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘ডা. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সবচেয়ে কঠিন সময়ে করোনার সময় ভ্যাকসিন তৈরি করে মানুষকে পৌঁছে দিয়েছেন’।

শীর্ষেন্দুবাবু জানালেন, ‘আমাদের দেশের বর্তমানে ৫টি ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছে। আমরা গর্বিত ফিল করি দাদা।’ জবাবে সৌরভের মুখ থেকে বেরিয়ে এল, ‘ফ্যান্টাস্টিক স্যার’।

এদিন কালো ব্লেজারে সেজেছিলেন দাদা। সঙ্গে নীল শার্ট। চোখে কালো সরু ফ্রেমের চশমা। খেলার সময় চোখে পরতেন কনট্যাক্ট লেন্স, তবে বর্তমানে সবসময় তাঁকে দেখা যায় চশমাতেই। দাদাকে সেটে ঢোকার সময়, এক মহিলা প্রতিযোগী স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘মহারাজও এ কি সাজে, এলে হৃদয় মাঝে…’

Biotechnology Industry Research Assistance Council-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের মিশন ডিরেক্টর ডা. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। দাদাগিরিতে এদিন প্রবাসীর হয়ে খেলেন তিনি।

দিল্লি-ভিত্তিক বাঙালি সম্প্রদায়, বিশেষ করে সিআর পার্কে বসবাসকারী প্রবাসীরা বাংলার এই জনপ্রিয় কুইজ শোতে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছিলেন। সেখানে দুটি পর্বের শ্যুটিং করা হয়েছে। যা আগামী শনি আর রবিবার অর্থাৎ ৪ ও ৫ মে সম্প্রচারিত হবে। 

 ২০০৯ সাল থেকে দাদাগিরির সঞ্চালকের আসন আগলে রেখেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মাঝে তৃতীয় সিজনে হোস্ট হিসেবে আনা হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। তবে সৌরভের যে জনপ্রিয়তা, তার ধারেকাছে দিয়েও যায়নি সেই সিজন। আর তারপর থেকে দাদা অপ্রতিরোধ্য। এখন মাঠের বাইরেও, ক্যামেরার সামনে হাঁকিয়ে চলেছেন একের পর এক সিক্সার।