ভাই-বোনের অটুট সম্পর্ক ও ভালোবাসার প্রতীক রাখীবন্ধন উৎসব। এদিন বোনেরা নিজের ভাইয়ের হাতে রক্ষাসূত্র বাঁধে। চলতি বছর ৩ অগস্ট, সোমবার রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হবে। শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়।
এ বছর এই উৎসব আরো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এ বছর রাখী বন্ধনের দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি ও দীর্ঘায়ু আয়ুষ্মানের শুভ সংযোগ রয়েছে। জ্যোতিষাচার্যদের মতে, ২৯ বছর পর রাখীবন্ধনের দিনে এমন শুভ যোগ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এ বছর ভদ্রা ও গ্রহণের ছায়াও এই উৎসবে পড়ছে না। তবে ২ অগস্ট রাত ৮টা ৪৩ মিনিট থেকে শুরু করে ৩ অগস্ট সকাল ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত ভদ্রাকাল থাকবে।
রাখীবন্ধনের শুভ মুহূর্ত:
রাখী বাঁধার মুহূর্ত- ০৯:২৭:৩০ থেকে ২১:১১:২১ পর্যন্ত।
রাখী বাঁধার অপরাহ্ন মুহূর্ত- ১৩:৪৫:১৬ থেকে ১৬:২৩:১৬ পর্যন্ত।
রাখী বাঁধার প্রদোষ মুহূর্ত- ১৯:০১:১৫ থেকে ২১:১১:২১ পর্যন্ত।
মোট সময়- ১১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট।
এ বছর রাখীবন্ধন উৎসবে সর্বার্থ সিদ্ধি ও দীর্ঘায়ু আয়ুষ্মান যোগ তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি রয়েছে, সূর্য-শনির সমসপ্তক যোগ, সোমবতী পূর্ণিমা, মকরের চন্দ্রমা শ্রবণ নক্ষত্র, উত্তরাষাঢ় নক্ষত্র ও প্রীতি যোগ। এর আগে ১৯৯১ সালে এই যোগ ছিল। এই সংযোগকে কৃষি ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ ফলদায়ী মনে করা হয়।
প্রচলিত ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী, শিশুপাল বধের সময়ে কৃষ্ণের বাম হাত থেকে রক্ত ঝরতে শুরু করে। তখনই দ্রৌপদী নিজের শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে কৃষ্ণের আঙুলে বেঁধে দেন। তখন থেকেই কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে নিজের বোন মনে করেন। এর পর যখন দ্যুতসভায় পঞ্চপাণ্ডব দ্রৌপদীকে হেরে যান ও দুশাসন দ্রৌপদীর চীরহরণ করে, তখন কৃষ্ণ ভাইয়ের দায়িত্ব পূরণ করেন ও দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করেন।
মনে করা হয়, তখন থেকেই রাখীবন্ধন বা রক্ষাবন্ধনের উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আবার পৌরাণিক ধারণা অনুযায়ী, রাবণের বোন ভদ্রাকালে রাবণকে রাখী বেঁধে ছিলেন। এ কারণে পরে রাবণের সর্বনাশ হয়।