দলবিরোধী কাজের অভিযোগে মালদায় ৩ পঞ্চায়েত সদস্যকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। এই সাসপেন্ডকে কেন্দ্র করে তুমুল চাপানউতোর চলছে জেলার রাজনীতিতে। সাসপেন্ড হওয়া ৩ পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, জেলা নেতৃত্বকে চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের।
বুধবার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মালদা ১০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের মণ্ডল সভাপতি রুপেশ আগারওয়ালা জানান, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য টুলি রায়, রামেশ্বর রায় এবং মৌসুমি সিংহকে সাসপেন্ড করেছে দল। এরমধ্যে টুলি রায় কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী। এদিকে টুলি রায়ের স্বামী, স্থানীয় বিজেপি নেতা দিলীপ রায়ের অভিযোগ, ব্লক স্তরের বিজেপি কিছু নেতা কাটমানি চাইত। যা দিতে না পারায় গোলমালের সূত্রপাত। আর সেই কারণেই তাঁদের একসাথে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর জন্যে দলে প্রবল গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছেন তিনি।
যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তিন পঞ্চায়েত সদস্যই দলবিরোধী বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, দলের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরুপ মন্তব্য করেছেন তাঁরা। বার বার সতর্ক করার পরেও তাঁরা একই আচরণ করতে থাকায় তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাটমানি ও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, বিজেপি তিন পঞ্চায়েত সদস্যকে সাসপেন্ড করার পরেই শক্তিবৃদ্ধির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। তিন জনকে দলে টানতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে তারা। এক জনের সঙ্গে এই বিষয়ে ফোনে কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান।
কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে। ১৯টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন তৃণমূলের দখলে। বাকি ৭টি বিজেপির।