টানা তিন দিন মগডালেই বসেছিলেন। এরপর নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক যুবক। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু কেন তাঁর এই আত্মহত্যার চেষ্টা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, তিন দিন আগে বাগদা থানার পাথুরিয়া এলাকায় শিরিশ গাছের মগডালে উঠে বসেছিলেন অমিতোষ হালদার। সঙ্গে ছিল একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগের ভিতর মুড়ি ও পানীয় জল। তিন দিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তাঁকে মগ ডাল থেকে নামাতে। মাটি থেকে মগ ডালটির উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট। ফলে অনেকেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা যুবককে নামানোর জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে নামাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পারমাদন ফরেস্ট এলাকার কয়েকজন গাছিকে খবর দেওয়া হয়। বুধবার যখন তাঁরা গাছে ওঠার প্রস্তুতি করছিলেন, তখন এলাকার বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন, ওই যুবকের গলা দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর যুবককে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পুলিশি তৎপরতার ফলেই যুবকটিকে ঠিক সময়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো গিয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগে এই বাগদাতেই পুলিশি তৎপরতার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। রবিবার রাতে নীতিশ কুমার নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। যুবকটি বিহার থেকে এই কলকাতায় চলে আসে। তারপর রাস্তা ঠিক করতে না পেরে বাগদা থানা এলাকায় চলে আসে। তবে পুলিশি তৎপরতায় অবশ্য যুবকটির বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।