এবার ময়নাগুড়ির সভা থেকে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূস কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসংযোগ যাত্রায় আজ, শনিবার ময়নাগুড়ির সভা থেকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আর বিজেপি এই চ্যালেঞ্জ নেবে কিনা এখন সেটাই দেখার। কারণ এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তবে অভিষেক যা বলেছেন তা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? আজ, শনিবার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের চ্যালেঞ্জ, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। বিজেপি বলছে আলাদা রাজ্য গড়ব। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডা, এই তিনজনকে এখান থেকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যাচ্ছি। উত্তরবঙ্গের যে কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে মিটিং করে যদি তাঁরা বলতে পারেন, উত্তরবঙ্গকে আলাদা ভাগ করে আলাদা রাজ্য গড়বেন তাহলে আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে কোনওদিন মুখ দেখাব না। ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। একটা মিটিং করেনি, দেখাতে পারলে রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে দেব। যাত্রা বন্ধ করে দেব। যদি কোনও বিজেপি নেতা দেখাতে পারেন।’
এদিন আজ শুরু থেকেই তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের ভোটে নির্বাচিত জন বার্লা দিল্লিতে গিয়ে দিল্লির তল্পিবাহকতা করে বাংলার বিরুদ্ধে কথা বলছে। বাংলায় হেরে গিয়েছে বলে বাংলার টাকা আটকে রেখেছে। পঞ্চায়েতে এমন সদস্য চাইছি, যাঁরা দিল্লির কাছে মাথা নত করবে না, বশ্যতা স্বীকার করবে না এবং ভয় পাবে না। বাংলা একমাত্র রাজ্য যার টাকা ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গায়ের জোরে আটকে রেখেছে। যে আমার আপনার অধিকারের স্বার্থে লড়বে তাঁকেই আমরা ভোট দেব। এমন লোককে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব যে মিথ্যা বলবে না। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে না। আপনারা আমার সঙ্গে থাকলে এই মিশনকে আমি বাস্তবায়িত করে দেখাবই।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন ময়নাগুড়িতে তিনি জনস্রোতে ভেসে যান। অনেকের আবদার রেখে সেলফি তোলেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অভিষেকের এমন কর্মসূচি নিঃসন্দেহে বিজেপিকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই ময়নাগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা সভা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গণতন্ত্রে শাসক বা বিরোধী শেষ কথা বলে না। মানুষ শেষ কথা বলে। মানুষ ভোট দিয়েছে বলে কেউ আজ সাংসদ, কেউ বিধায়ক আবার কেউ মুখ্যমন্ত্রী, কেউ প্রধানমন্ত্রী। গণতন্ত্রে আপনারাই গণদেবতা।’