বালুরঘাটে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে দণ্ডি কাটানোর ঘটনাকে সমর্থন করলেন তৃণমূল সাংসদ আফরিন আলি ওরফে অপরূপা পোদ্দার। তাঁর যুক্তি দলের নির্দেশেই দণ্ডি কাটানো হয়েছে ৩ আদিবাসী মহিলাকে। এক ভিডিয়ো বার্তায় এই দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আদিবাসীদের হিতাকাঙ্খী ভূভারতে আর নেই।
ভিডিয়ো বার্তায় আফরিন আলি দাবি করেছেন, ‘দলের একটা নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। কেউ যদি ভুল করে অন্য দলে চলে যায় তাহলে তাকে প্রায়শ্চিত্ত করে ফিরতে হবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে খানাকুলে কিছু নেতা - কর্মী ভুল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পরে তাদের মাথা মুড়িয়ে দলে ফিরতে হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তারা স্বেচ্ছায় প্রায়শ্চিত্ত করেছেন।’
এমনকী বিজেপিকে আদিবাসী বিরোধী বলে দাবি করে আরামবাগের সাংসদ বলেন, ‘বিজেপিতে আদিবাসীদের কোনও গুরুত্ব নেই বুঝে তৃণমূলে ফিরেছেন ওই মহিলারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসীদের জন্য খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপি তাদের ভোটের রাজনীতি করতে ব্যবহার করছে।’
গত শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন কয়েক শ মহিলা। তার পরদিন বালুরঘাটে ৩ মহিলাকে দণ্ডি কেটে তৃণমূল পার্টি অফিসে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করতে দেখা যায়। জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী দাবি করেন, ওই মহিলারা স্বেচ্ছায় দণ্ডি কেটেছেন। একই কথা জানান ঘটনার কেন্দ্রে থাকা ৩ মহিলাও। তবে তাতে বিতর্ক থামেনি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যজুড়ে সোমবার বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এমনকী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।