পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জগদ্দলে ফের বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। শনিবার রাতে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। আর এই বোমার স্প্লিন্টারে জখম হন ৪ জন। আহতদের তিনজনকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। এই বিয়ে বাড়িতে লাউড স্পিকার বাজানো হচ্ছিল। তা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই বোমাবাজি বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের মমিনপাড়া এলাকায় বিয়েবাড়ি চলাকালীনই বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অবশ্য এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঠিক কী ঘটেছে জগদ্দলে? স্থানীয় সূত্রে খবর, জগদ্দল থানা এলাকার বাসিন্দা সুরেশ মাহাতোর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। অতিথিরা অনেকেই তখন এসে গিয়েছেন। আবার বিয়েরকাজও তখন তুঙ্গে উঠেছিল। পরিবারের সকলেই তখন হুল্লোড়ে মেতে উটেছিলেন। এখানে মাইক বাজানো নিয়ে এলাকারই বাসিন্দা আশিক খানের সঙ্গে ঝামেলা হয় সুরেশ মাহাতোর। তারপরই এখানে পর পর বোমা পড়তে থাকে। যদিও কে এই বোমা মেরেছে তা দেখা যায়নি।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়েবাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এখানে দু’পক্ষের মধ্যে লাউড স্পিকার বাজানো নিয়ে বচসা হয়েছিল। যদিও তা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যস্থতায় মিটে যায়। কিন্তু তারপরেই এখানে বোমাবাজি হয়। যদিও এই কাজ কে করেছে তা স্পষ্ট নয়। আচমকাই এখানে বোমাবাজি শুরু হয়। বাড়ির সামনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন তাতে আহতও হন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই বোমাবাজি যখন করা হয় তখন স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। সেখানে আশিক খান ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। তবে তিনি কাজটি করিয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। স্প্লিন্টার ছিটকে এসে কারও গলায়, কারও পায়ে চোট লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।