গত ৪ অক্টোবর তিস্তার হড়পা বানে সিকিমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এ রাজ্যের তিস্তা অববাহিকা এলাকা কালিম্পংয়েও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর প্রভাব পড়েছে পর্যটনেও। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে পর্যটকদের ভিড় থাকে। কিন্তু, এবার পর্যটকদের ভিড় সেরকমভাবে হয়নি। তার কারণ হল তিস্তার বিপর্যয়ে ১৭ দিন ধরে বন্ধ ছিল কালিম্পং ও সিকিমে যাতায়াতকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই অবস্থায় দীপাবলির মরসুমে পর্যটকদের ভিড় কেমন হবে? তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। এবার এ বিষয়ে পর্যটন শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখলেন দার্জিলিংয়ের হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। এর পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রের পর্যটন মন্ত্রীর কাছেও চিঠি দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সপ্তমীতে তিনি রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। তবে সেটা হামরো পার্টির সভাপতি হিসেবে নয়, গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ’র সদস্য হিসাবে তিনি এই চিঠি দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি সেখানকার বিভিন্ন পর্যটন সংগঠন, হোটেল সংগঠন এবং পরিবহন সংগঠনগুলিকেও চিঠি দিয়ে সরব হওয়ার ডাক দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজনীতির বাইরেও অজয় এডওয়ার্ডের অন্য পরিচিতি রয়েছে। তিনি হলেন সেখানকার একটি বিখ্যাত রেস্তোরাঁর মালিক। তাঁর রেস্তোরাঁতেও প্রতি বছর পুজোয় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হয়। তবে এবছর সেরকম ভিড় হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্পকে ঘুরে দাঁড় করাতে গেলে সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
গত ৪ অক্টোবর সিকিমের হড়পা বানে উত্তর সিকিম এবং কালিম্পঙের তিস্তা সংলগ্ন এলাকা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছেন। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এর পাশাপাশি কালিম্পংকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এই বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে দার্জিলিঙের পর্যটনেও। জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় পর্যটকদের অনেকেই কেউ পুজোর মুখে বুকিং বাতিল করেছেন, কেউ বুকিং পিছিয়ে নিয়েছেন, আবার কেউ সিকিমের পরিবর্তে নেপাল বা ভুটানে গিয়েছেন। তবে আশ্বাস বাণী শুনিয়েছেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা। তিনি বলেছেন, এখন জাতীয় সড়ক খুলেছে। দীপাবলির মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যটন সংগঠনগুলিও দাবি করেছে, সিকিম আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।