ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা এবং র্যাগিংয়ের অভিযোগে একাধিকবার শিরোনামে এসেছে খড়গপুর আইআইটি। তা সত্ত্বেও সেখানে র্যাগিং হয়েই চলেছে। ফের মারাত্মক র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল খড়গপুর আইআইটিতে। জুনিয়র ছাত্রদের সারারাত ধরে নাচতে বাধ্য করল সিনিয়ররা। শুধু তাই নয়, সারারাত ধরে তাদের খেলতে বাধ্য করল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় খড়গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের কথা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে র্যাগিং, মেরে ছাত্রের দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
কী ঘটেছিল?
অভিযোগ, গত ৮ নভেম্বর এক ছাত্র ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইনে ফোন করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। যদিও।ছাত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। অভিযোগ করা হয়, কিছু সিনিয়র ছাত্র দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রদের রাতভর নাচতে এবং খেলতে বাধ্য করেছে। যার ফলে ওই পড়ুয়ারা রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন। তারা পড়াশোনা করতে পারছেন না। এরপরেই ইউজিসির তরফে দ্রুত আইআইটি কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনায় আইআইটির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়গপুরের সিনিয়র নিরাপত্তা অফিসার প্রমোদ কুমার থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, র্যাগিংয়ের শিকার পড়ুয়ারা দাবি করেছেন যে তারা পড়াশোনা করতে পারছেন না। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, একজন আক্রান্তকে সিনিয়র দাদারা এবং তার সহপাঠীরা তাকে এবং অন্যান্য কয়েকজনকে মানসিকভাবে হয়রানি করছে।
এই ঘটনায় আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অ্যান্টি র্যাগিং আইন এবং নির্দিষ্ট ধারার অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশকে গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত করতে অনুরোধ করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। খড়গপুর আইআইটি তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি বিদেশ ভ্রমণে রয়েছেন। খড়গপুর টাউন থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। র্যাগিং সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’ সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর আইটি খড়গপুরের হস্টেলে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল ছাত্র ফয়জান আহমেদের। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।