সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। জামাই সহ ১২ জনের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন বলে খবর। মঙ্গলকোট থানায় উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালিয়াতির পিছনে আর কারও যোগসাজশ আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত উপপ্রধানের নাম শেখ হেকমত আলি। তিনি মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। জানা গিয়েছে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ জনের কাছ থেকে ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন হেকমত আলি। টাকা নেওয়ার পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কেউ টাকা পাননি। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধানের বেয়াই। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বদরুজ্জোহারের ছেলে গোলাম জাসিমের সঙ্গে বিয়ে হয় হেকমত আলির মেয়ের। বিয়ের পর প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেয় অভিযুক্ত। একইসঙ্গে হেকমত বদরুজ্জোহারকে জানিয়েছিলেন, পরিচিত অন্য আরও কয়েকজন যদি থাকে, তাঁদেরকেও বলতে পারেন। সেইমতো মোট ১২ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত উপপ্রধান। তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাতে ঝিলু দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হেকমত আলিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। নতুন হাটের স্কুল মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
পঞ্চায়েত উপপ্রধানের এই আর্থিক জালিয়াতি প্রসঙ্গে মঙ্গলকোটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী জানান, ‘হেকমতকে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। ওর এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য ওকে এর আগেও পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আইন আইনের পথেই চলবে।’ ইতিমধ্যে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে প্রবল অস্বস্তির মুখে তৃণমূল। এরই মধ্যে পঞ্চায়েত স্তরে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় তৃণমূলকে যে চাপে রাখবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।