বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনীতির আঙিনায় টেনে নামাল বিজেপি। আর তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। নাম না করে অমর্ত্য সেন সম্পর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, দেশের মানুষের দুঃখ–কষ্টে যিনি নেই তাঁর কাছ থেকে কোনও নীতি কথা নয়। এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অমর্ত্য সেন বলেছেন, লাভ জিহাদের মধ্যে জিহাদ থাকতে পারে না। ধর্মান্তরকরণ বিরোধী যে আইন বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আছে, তা অসাংবিধানিক। উনি তো তিনবার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন। তাঁর তো কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন, দেশের মানুষের দুঃখ–কষ্টে নেই, তাঁদের নীতি কথা শুনতে আমরা প্রস্তুত নই।’
সোমবার বস্টন থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘এটা খুবই চিন্তার বিষয়। জীবনযাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। মানুষই নিজের ধর্ম বদলে অন্য ধর্মগ্রহণ করতে পারেন। সেটা সংবিধান স্বীকৃত। তাই এই আইন অসাংবিধানিক।’ রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। সেজন্য গেরুয়া শিবির ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে নামল বলে মত বিজেপির।
এই মন্তব্যে বিজেপি নেতাদের আঁতে ঘা লেগেছে। তখন সরাসরি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছেন তাঁরা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অমর্ত্য সেন আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া উচিত। এই আাইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা উচিত। ভারতের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই। এমন আইন সংবিধানকেই অপমান করে।’
অন্যদিকে অমর্ত্য সেনের মন্তব্য নিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র বক্তব্য, ‘উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কথা বলছেন।’ দিলীপ ঘোষের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘অমর্ত্য সেনের গুরুত্ব বোঝা দিলীপ ঘোষের পক্ষে সম্ভব নয়।’