অনুব্রত মণ্ডল কি শিবভক্ত? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। কারণ প্রথমে যে চালকলটির হদিশ তাঁরা পান সেটার নাম ভোলে ব্যোম। দ্বিতীয় যে চালকল সিবিআই রেডারে ধরা পড়ে সেটি হল শিবশম্ভু। এই চালকলের উদ্দেশে সিবিআই চিঠি দিয়েছে। এবার শিবের নামে আরও একটি চালকলের হদিশ মিলেছে। বোলপুরে এই চালকলের নাম ‘শঙ্কর রাইস মিল’। এখন অনুব্রত নিয়ন্ত্রিত এই চালকলটি এসেছে সিবিআইয়ের নজরে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বোলপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শঙ্কর চালকলটি ভোলে বোম চালকলের ঠিক পাশেই। যদিও এটার মালিক কে? সেটা জানা যায়নি। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই এই চালকল নিয়ন্ত্রণ করতেন। এমনকী তাঁর ঘনিষ্ঠদের যাতায়াতও ছিল এখানে। যদিও দু’মাস ধরে চালকলটিও বন্ধ রয়েছে। ওই চালকলে গিয়ে একজন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কারও দেখা মেলেনি।
কী তথ্য পেয়েছে সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, ‘ভোলে ব্যোম’ চালকল থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে একাধিক দামি গাড়ি। চালকলের নামে ডাম্পার এবং লরির হদিশ হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই সবই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। যেসব নথি উদ্ধার হয়েছে সেগুলি যাচাই করে দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের গণবণ্টন ব্যবস্থায় কয়েক কোটি টাকার চাল অনুব্রতের চালকল থেকে কেনা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কর চালকলও নজরে এসেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বোলপুরে প্রায় ১০–১২ বিঘা জায়গার উপর রয়েছে শিবশম্ভু চালকলটি। চালকলটি বহু শরিকের মালিকাধীন বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তবে সেটি অনুব্রতর এক নিকট আত্মীয় ১২ বছরের জন্য লিজ নেন। এই একাধিক চালকল নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নামে–বেনামে অনেক চালকল আছে অনুব্রতের।আমি শুনেছি ৬০টা চালকলে ওঁর শেয়ার আছে।’ আর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একটা তদন্ত চলছে। তাই বাইরে থেকে কোনও মন্তব্য করব না। তবে নির্দিষ্ট মামলায় এফআইআর থাকা সত্বেও শুভেন্দু অধিকারীকে কেন খুঁজে পাচ্ছে না বুঝতে পারছি না।’