নদিয়ার তেহট্টের সভা থেকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে তির ছুঁড়লেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘দলনেতা! যিনি বলছেন, হয় বিজেপিতে ভোট দিন, নয় কংগ্রেসকে ভোট দিন। না আছে নীতি, না আছে আদর্শ। দুজন নেতা বহরমপুরে মিটিং করে গেলেন। একজনও সেই নেতার নাম মুখে আনলেন না। কেন আনবেন! এদের মতো কয়েকটা স্বার্থপর লোক তো দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছেন।’ কার্যত নাম না করে অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে তোপ দাগেন মমতা।
একটা সময় ইন্ডিয়া জোটে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল। কিন্তু বাংলায় সেই জোটের ছিটেফোঁটাও নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলায় জোট টক্কর একদিকে বিজেপির। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেসও সহজে জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূলকে।
এবার সেই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে নিশানা করে নাম না করে তোপ দাগলেন মমতা। ‘দলনেতা! যিনি বলছেন, হয় বিজেপিতে ভোট দিন, নয় কংগ্রেসকে ভোট দিন। না আছে নীতি, না আছে আদর্শ। দুজন নেতা বহরমপুরে মিটিং করে গেলেন। একজনও সেই নেতার নাম মুখে আনলেন না।’ কার্যত বিজেপির সঙ্গে অধীরের তলায় তলায় সেটিং রয়েছে বলে যা দাবি করা হয় সেটাই কি সামনে আনতে চাইলেন মমতা?
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানে মহুয়াকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একের পর এক নিশানা করেন তিনি। মমতা বলেন, আগামী কাল এখানে বিজেপি নেতারা মিথ্যে কথা বলতে আসছেন। কারণ মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা।
এদিকে সেই সঙ্গেই মমতা বলেন, কার সঙ্গে কার বন্ধুত্ব কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে যাবে। আসলে মহুয়াকে নিয়ে ওদের খুব জ্বালা। ও মুখের উপর কথা বলে দেয়। ভয় পায় না। মহুয়ার বহিষ্কার প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দেশে কী চলছে সেটা ও বলে দিয়েছিল। সেকারণেই ওকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মমতা বলেন, মহুয়া লড়ে বাঘের বাচ্চার মতো।
এদিকে প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ড অনন্ত দেহদ্রাইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল মহুয়ার। আর তার জল গড়ায় বহু দূর পর্যন্ত। পরবর্তী সময় মহুয়ার সম্পর্কে একের পর এক তথ্য় সামনে আসতে থাকে। এদিকে এই ইস্যুতে বরাবরই মহুয়ার পাশে থেকেছেন মমতা। এমনকী কৃষ্ণনগর আসন থেকে যে মহুয়া লড়বেন সেটা তিনি অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ভোট প্রচারে এসেও মহুয়ার পাশে দাঁড়ালেন মহুয়া।