হান জুনেই। গত ১০ই জুন কালিয়াচক ১ ব্লকের আকন্দবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে আটক করেছিল বিএসএফ। এরপর দফায় দফায় চলে জেরা। সেই জেরাতে উঠে আসে সে আদতে চিনের হোবেই প্রদেশের বাসিন্দা। কিন্তু এখানে সে কী করছিল। এদিকে সূত্রের খবর ধৃতের কাছ থেকে একটি ল্য়াপটপ, দুটি আইফোন, একটি বাংলাদেশি সিমকার্ড, প্রচুর ভারতীয় সিম, দুটি চিনা সিম কার্ড, আমেরিকান, ভারতীয় ও বাংলাদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়। পরে কালিয়াচক থানার পুলিশও তাকে জেরা করে। কিন্তু সূত্রের খবর, হানের মুখ খোলাতে কার্যত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকে। একেবারে ভাবলেশহীন হয়ে দিন কাটাচ্ছে হান। এমনকী ইংরেজবাজার থানায় চাউমিন দিয়ে ডিনারও সেরেছে। তবে গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। হানের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, ল্য়াপটপের রহস্য উন্মোচনের জন্য হায়দরাবাদের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে চাইছেন এই রাজ্যের গোয়েন্দারা। দোভাষীর মাধ্যমে তাকে জেরা করা হয়েছে। তবে বহুক্ষেত্রেই নিরুত্তাপ হান।
তবে এবার উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড(এসটিএস) হানকে জেরা করতে চাইছে। লখনউতে হানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, আর্থিক দুর্নীতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। হানকে লখনউ নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চাইছে এটিএস। সেই আবেদনে সাড়াও দিয়েছে মালদহ আদালত। হোটেল ব্যবসার আড়ালে চিনে ভারতীয় সিম পাচারের কারবার চালাত হান। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু কেন সে এই দেশে এসেছিল, চিনা গুপ্তচর হিসাবে সে কাজ করছিল কি না, ভারতের আর কার কার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এবার রহস্য উদ্ঘাটনে এটিএস।