চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পথে বেরিয়েও ফের গন্তব্যে পৌঁছতে পারলেন না বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ডেবরায় তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। সায়ন্তনবাবুর মন্তব্য, ফ্যাসিস্ত এই সরকারের অবিলম্বে পতন প্রয়োজন।
শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেছিলেন মমতা। বলেন, ‘ভয়ে তিন মাস সবাই লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বাড়ির পিছনে ভিডিয়ো কর্নারে লুকিয়ে ছিলেন। বিপদের সময় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু রাজনীতি করেছেন। আমরা মানুষের পাশে থেকেছি।’
কিন্তু তার পরও এদিন পথে বেরিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারলেন না সায়ন্তন বসু। পথে তাঁকে আটকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই পুলিশ। এদিন ডেবরা পার্টি অফিস থেকে বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে সায়ন্তন বসুকে আটকান পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ। এর আগেও পথে তাঁর গাড়ি বেশ কয়েকবার আটকায় পুলিশ।
এর পর ডেবরা পার্টি অফিসে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘প্রথমে আমাকে মেদিনীপুরেই ঢুকতে দিচ্ছিল না। সেখানে একপ্রকার বচসা করে জেলায় ঢুকি। এবার আমাকে বলছে পিংলা যেতে দেবে না। সেখানে আমাদের দলের কর্মীরা আক্রান্ত। কিন্তু তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আমি হেঁটে যেতে চাইছি। তাও অনুমতি দিচ্ছে না।’
এর পর সায়ন্তন বলেন, ‘গতকাল আমাকে হুগলিতে আটকেছিল। আমি গেলেই না কি করোনা ছড়াবে। আইন – শৃঙ্খলার সমস্যা হয়ে যাবে।’
বলে রাখি, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতারা তিন মাস রাস্তায় নামেননি বলে যে অভিযোগ করেছেন শুক্রবারই তার জবাব দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদদের কোয়ারেন্টাইনের নামে গৃহবন্দি করে রাখছে প্রশাসন। রাস্তায় বেরোলে তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপিকে দেখা যাচ্ছে না।’