পরিত্যক্ত কারখানায় উদ্ধার হল বিজেপির বুথ সভাপতির মায়ের গলা কাটা মৃতদেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির সুগন্ধায়। অভিযোগ, জোৎস্না জানা (৫৫) নামে ওই মহিলাকে খুন করে ফেলে দিয়েছেন কেউ বা কারা। মৃতের ছেলে রাজকুমার জানা সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের জগন্নাথবাটি গ্রামের বাসিন্দা জ্যোৎস্নাদেবীর ২ ছেলে রাজকুমার ও রবি। জ্যোৎস্নাদেবীর স্বামী ইটভাটার লরি চালান। সেখানে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন জ্যোৎস্নাদেবী। তবে মাঝে মাঝে সুগন্ধায় ছেলেদের বাড়িতেও আসতেন। দিন কয়েক আগে তেমনই রাজকুমারের বাড়িতে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভেঙে ফেলা হচ্ছে শহরের প্রাণকেন্দ্রের এলিট সিনেমা হল, ওই জায়গায় কী হবে?
নিহতের পুত্রবধূ পারমিতা জানা বলেন, আমার শ্বশুরমশাই গঙ্গার ধারে একটা ইটভাটার লরি চালান। শাশুড়ি সেখানেই থাকতেন। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িও আসতেন। সোমবার দুপুর থেকে ওনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বন্ধ কারখানার জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গলা কেটে খুন করা হয়েছে জ্যোৎস্নাদেবীকে। দেহ ছিল কলাপাতা দিয়ে ঢাকা।
আরও পড়ুন: ‘ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে’, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ। তিনি বলেন, রাজকুমার জানা বিজেপির সক্রিয় কর্মী। তাঁর মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কী রহস্য আছে তা দেখতে হবে।
ভাটার এক কর্মী বলেন, সোমবার স্বামী - স্ত্রী ভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। সন্ধ্যা থেকে জ্যোৎস্নাদেবী নিখোঁজ হন। পরে ভাটারই এক কর্মী জঙ্গলে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কেন প্রৌঢ়াকে খুন করা হল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পোলবা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।