Mamata Banerjee: ময়দা মেখে–লেচি কেটে–পুর ভরে বানালেন মোমো, পাহাড়ে ভিন্ন মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রীকে মোমো তৈরি করতে দেখে চমকে যান দোকানি এবং তাঁর সহকারীরা। চোখে ভুল দেখছেন না তো!‌ এমনও হয়েছে অনেকের। তবে সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী এভাবে প্রমাণ করলেন তিনি মাটির থেকে ওঠা নেত্রী। এদিন রিচমন্ড হিল থেকে সিংমারিতে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পর্যন্ত হেঁটে যান তিনি।

মোমো বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আবার মোমো। আবার দার্জিলিং। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে যখন তিনি এসেছিলেন তখন পাহাড়ি রাস্তায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে মোমো বানিয়েছিলেন তিনি। এবার এসে ফুচকা বানালেন। তবে থামলেন না। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। তার আগে আজ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সিংমাড়ি ঘুরে রিচমন্ড হিলের কাছেই মোমো বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক কী ঘটেছে দার্জিলিংয়ে?‌ আজ, বৃহস্পতিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রিচম্যালে একটি দোকানে সরাসরি ঢুকে গিয়ে মোমো বানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দোকানের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে একেবারে বেঞ্চে বসে চাকি–বেলনা হাতে নিয়ে ময়দা বেলে মোমো বানালেন তিনি। যখন ভানু ভবনে জিটিএ’‌র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তোড়জোড় চলছে, তখন রাস্তায় দোকানে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রীর মোমো তৈরি করে জনসংযোগ করলেন পাহাড়ে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ মুখ্যমন্ত্রীকে মোমো তৈরি করতে দেখে চমকে যান দোকানি এবং তাঁর সহকারীরা। চোখে ভুল দেখছেন না তো!‌ এমনও হয়েছে অনেকের। তবে সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী এভাবে প্রমাণ করলেন তিনি মাটির থেকে ওঠা নেত্রী। এদিন রিচমন্ড হিল থেকে সিংমারিতে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা পর্যন্ত হেঁটে যান তিনি। চলার পথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সুবিধা–অসুবিধার খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের সঙ্গে করমর্দন করেন।

ঠিক কেমন করে মুখ্যমন্ত্রী বানালেন মোমো?‌ এদিন দেখা যায়, দোকানে ঢুকে চাকি–বেলনা নিয়ে একেবারে বসে পড়েন মোমো বানাতে। ময়দা মেখে, লেচি কেটে দোকানের এক মহিলার হাতে তুলে দেন। তারপর সেটিতে পুর দিয়ে মুড়ে সেদ্ধ করার জন্য রেখে দেন। পাহাড় সফরের শেষ দিনে এভাবেই অন্য মেজাজে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।