গঙ্গাসাগর মেলা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য সেখানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের ভূমি দফতরকে নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কযেকটি বিস্ফোরক কথা বলেছেন তিনি। এমনকী কাজ ফেলে রাখা চলবে না। দফতরের কর্মীদের তা দ্রুত শেষ করতে হবে বলেও এদিন নির্দেশ দেন তিনি। প্রকাশ্যে তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘ভূমি দফতর ঘুঘুর বাসা। এটা ভাঙতে হবে।’
আজ, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে ডিএম, বিডিও, পুরসভার চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি–সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীকে ভূমি দফতরের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। ভূমি দফতরের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন বারুইপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান শক্তিপদ মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানান, এই এলাকায় ভূমি দফতর সঠিকভাবে কাজ করছে না। কাজ দীর্ঘদিন ফেলে রাখছে। ফলে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এই অভিযোগ শুনেই তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মা–মাটি–মানুষ সমস্যায় পড়ছেন! প্রথমে এই কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। তারপরেই মমতা বৈঠকে উপস্থিত ভূমি দফতরের আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করেন। সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হবে কেন? এই প্রশ্ন করেন তিনি। তারপরই একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভূমি দফতর একটা ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। এটা ভাঙতে হবে। এটা ভাঙবে আমাদের অফিসাররা।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই অগ্নিশর্মা রূপ দেখে তড়িঘড়ি ভূমি দফতর ফেলে রাখা কাজ শুরু করে দেয় বলে খবর। এই বিষয়ে দেখার জন্য মুখ্যসচিবকেও নির্দেশ দেন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখতে বলেন। এমনকী তিনি মাঝেমধ্যে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেবেন বলেও জানান। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ যদি আর অসুবিধায় পড়েন তাহলে তাঁর থেকে কেউ খারাপ হবেন না বলেও অফিসারদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।