ঢিমে তালে হলেও ক্রমশ ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতার কফি হাউস। গত ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল শ্রীরামপুরে। এবার তা ডানা মেলল ডায়মন্ডে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে নতুন কফি হাউজের পথ চলা শুরু হবে। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে এই কফি হাউস তৈরি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থানার পাশে তেতলায় এই কফি হাউস তৈরি হয়েছে।
কফির সব আইটেমের পাশাপাশি এখানে মিলবে চিকেন ওমলেট, ফিস ফ্রাই, কবিরাজীও। খাবারে মান পড়ে যাওয়া নিয়ে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবু এখনও ভোজন রসিকদের তালিকা থেকে বাদ যায়নি হাউজ। বিকেল হলেই ভিড় করেন অনেকে। খাবারের মান রক্ষার ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছে কফি হাউস কর্মচারী সমবায়। সংগঠনের সম্পাদক সরফরাজ জানালেন, মান বজায় রাখতে মাছ, মটন সরবরাহকারী বদলের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
(পড়তে পারেন। টাস্ক ফোর্স তো সোমবার থেকে মাঠে নামবে, শাক-সবজির দাম কমবে কি?)
ডায়মন্ড হারবারেও যাতে কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের স্বাদ মেলে সে জন্য তাদের তিন হেঁশেল কর্মী রান্না শেখাচ্ছেন ডায়মন্ডে। প্রাথমিক ভাবে ৩০ আসন নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই কফি হাউস। এখানে সাধারণ আসনের পাশাপাশি একটি অংশে আলাদা করে এসি বাসানো হচ্ছে।
তবে আয় বাড়ানোর জন্য কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজের একটি অংশে এসি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন সমবায় সংগঠনের সম্পাদক সরফরাজ। কলেজস্ট্রিটেই তিনতলায় আলাদা করে প্রায় শ'খানের আসন বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
টিম টিম করে চলছে যাদবপুর কফি হাউজ। তবে সর্বত্র ছবিটা নয় এক বলেই দাবি সরফরাজের। তাঁর মতে, যদি ছবিটা এক হতো তাহলে কেউ শাখা খোলার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাতেন না। লাভাংশ ভাগের মাধ্যমেই চলবে ডায়মন্ড হারবার কফি হাউস। মালিক নুর ইসলাম লস্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন,'আগে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কফি হাউজে যেতাম। সুযোগ পেয়ে এবার তা ডায়মণ্ডে নিয়ে এলাম।'
এমনিতে ডায়মন্ড হাববার উইকএন্ড পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম স্থান। তাই সেখানে কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউসের শাখা স্বাভাবিক ভাবে পর্যটকদের টানবে। তাই সফল ভাবেই চলবে বলে কফি হাউস আশা মালিকের। আবার অন্য দিকে কোভিডের কারণে টানা দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল হাউজ। তার ফলে যে ক্ষত হয়েছে তার অনেকটাই পূরণ হবে এই ধরনের শাখার লভ্যাংশ থেকে, আশা কর্মচারী সমবায়ের।