মানকুন্ডু স্টেশন রোডের রাধা আবাসনে মা ও মেয়ে থাকতেন। বছর দশেক ধরেই মেয়ে অসীমা সাহাকে নিয়ে বাস করতেন ওই বৃদ্ধা। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই মা মেয়েকে এলাকায় দেখা যায়নি। এরপর মঙ্গলবার স্থানীয় পার্টি অফিস কোনওভাবে জানতে পারে ওই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতের নাম নির্মলাবালা সাহা(৮৮)।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ দিন দুয়েক আগেই ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে হালকা পচনও ধরেছে। মায়ের দেহ আগলে বসেছিলেন মেয়ে। তবে মৃতের মেয়ে ৬৬ বছর বয়সী অসীমা কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন তিনি। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেন, সোমবারও মা আমার হাত থেকে চা আর ওষুধ খেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আবাসনের অন্য়ান্যদের সঙ্গে ওই পরিবারের বিশেষ বনিবনা ছিল না। এলাকার কারোর সঙ্গে তারা বিশেষ মেলামেশা করতেন না। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে তাদের দেখতে না পেলেও বিশেষ কেউ কিছু সন্দেহ করেননি। এদিকে মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে বৃদ্ধা যে মারা গিয়েছেন তা পাশের ফ্ল্য়াটের লোকজনও জানতেন না। তবে ফ্ল্যাটে কোনও দুর্গন্ধও বের হয়নি। ঠিক কবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তা বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না। এদিকে এই ঘটনায় অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৫ সালের জুন মাসের ঘটনা। অনেকেই রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া দেখছেন চন্দননগরের এই ঘটনায়। সেই ঘটনায় দেখা গিয়েছিল পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও বোনের দেহ আগলে রেখেছিলেন।