রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হলেন চিকিৎসক। নার্সকেও মারধর করা হল। এমনই অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিওপিডিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মুর্শিদ বেগম নামে ৫৩ বছরের এক মহিলা। তিনি শক্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সন্ধ্যায় চিকিৎসক অনুপম মণ্ডল তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। কিন্তু স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বাধা দেন রোগীয় পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁদের বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের বোঝানো হয়নি। দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিজাম সারোডি। তিনিও রোগীর আত্মীয়দের হয়েই চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে দেন। এরপর চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। চেয়ার থেকে টেনে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় নার্স রাধারানিকে। তাঁকে তলপেটে লাথিও মারা হয়।
আক্রান্ত নার্স জানান, ‘রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল বলেই তাঁকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কেন রেফার করা হয়েছে তা নিয়েই ঝামেলা শুরু হয়। এরপর বচসা শুরু হয়ে যায়। আমরা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে চেয়ার থেকে টেনে ছুড়ে ফেলা হয়েছে।’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণ বারুই জানান, টএটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। করোনা পরিস্থিতিতে কত চিকিৎসক দিন রাত এক করে কাজ করছেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকদের মন আরও ভেঙে যাবে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। রোগীর পরিবারের লোকেরা সাহায্য না করলে আমাদের কাজ করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চিকিৎসক, নার্সদের ওপর আক্রমণের ঘটনা চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'