খড়্গপুর আইআইটিতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আইআইটি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলল মৃতের পরিবার। তাদের অভিযোগ, প্রজেক্ট নিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল কে কিরণ চন্দ্রের উপর। তাই চাপ সইতে না পেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তবে আত্মহত্যার জন্য কার্যত আইআইটি কর্তৃপক্ষকেই তারা কাঠগড়ায় তুলেছেন।
আরও পড়ুন: IIT খড়গপুরের ফের রহস্য মৃত্যু ভিন রাজ্যের ছাত্রের
কিরণের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে গতকাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছান মৃত ছাত্রের বাবা এবং তাঁর কাকা। সেখানে ছাত্রের বাবা চন্দ্র কেথাওয়াত আইআইটি খড়গপুরের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে প্রজেক্ট নিয়ে ছেলের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ প্রজেক্ট নিয়ে ছেলের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। এর আগে ছেলে প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রজেক্ট নিয়ে অধ্যাপক সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি ছেলেকে বকাবকি করেছিলেন।’ তা নিয়ে অবসাদে থাকার পরেই কিরণ আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ছাত্রের আত্মহত্যার জন্য কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই দায়ী নয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার আইআইটি খড়্গপুরের এলবিএস হলে ২২ বছর বয়সি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কিরণের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, খড়্গপুর আইআইটির এলবিএস হলে কিরণের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তখনই হলের অন্যান্য ছাত্ররা তা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিসি রায় টেকনোলজি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পরেও তিনি বেঁচেছিলেন। চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। বুধবার বিকেল নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ছাত্রের দেহ আনা হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্রের পরিবারের আরও অভিযোগ, তারা সেখানে যাওয়ার পরেও আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তাদের বক্তব্য, এত বড় একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছাত্রের কোনও সমস্যা থাকলে কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সেক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রটি তেলাঙ্গানার বাড়ি থেকে আইআইটি খড়গপুরে এসেছিলেন। ছাত্রের মৃত্যুর আগের দিন তাঁর সঙ্গে পরিবার সদস্যদের কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।