বন্দুক পরিষ্কার করছিলেন বাবা। আচমকাই ট্রিগারে হাত পরে দরজা ভেদ করে ছিটকে গেল গুলি। তাও আবার পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকা মেয়ের একেবারে কান ঘেঁষে। ঘটে যেতে পারত বড়সড় বিপদ। কিন্তু বরাতজোরে এই যাত্রায় রক্ষা পেল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের সূর্যনগরের। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বাবা। বর্তমানে ওই নাবালিকা সুস্থ রয়েছে। এরকম ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বন্দুক পরিষ্কার করছিলেন সুজিত ভট্টাচার্য। সেই সময় পাশের ঘরেই পড়ছিলেন তার মেয়ে শুভাঙ্গী ভট্টাচার্য। তবে বন্দুকের ভিতরে যে গুলি ভরা ছিল, তা একেবারেই তারা খেয়াল ছিল না। বন্দুক পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত হাত পড়ে যায় ট্রিগারে। তৎক্ষণাৎ বন্দুক থেকে বের হওয়া গুলি দরজা ফুটো করে শুভাঙ্গীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ঘটনার সময় পড়ছিল শুভাঙ্গী। একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী। তবে তার শরীরে গুলি লাগেনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন পরিবারের বাকি সদস্যরা।
এরকম ঘটনায় মর্মাহত শুভাঙ্গীর বাবা। তিনি জানান, তার কাছে যে রিভলভার রয়েছে, সেটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। ২০০৯ সাল থেকে তার লাইসেন্স রয়েছে। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। ঘটনার পরেই তিনি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর মেয়ে এখন সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য জানান, সূর্যনগরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে নাবালিকা এখন সুস্থ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।