হাবরায় প্রৌঢ় দম্পতি খুনে ঘটনা পুনর্গঠন করতে গিয়েছে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জামাই বান্টি সাধু শনিবার স্বীকার করেছে, ভাড়টে খুনি নয়, নিজে হাতে গুলি চালিয়ে খুন করেছে সে।
শনিবার ধৃত বান্টিকে নিয়ে দক্ষিণ হাবরার টুনিঘাটা এলাকায় নিহত রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও লীলারানি মণ্ডলের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানে ধৃতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে RAF মোতায়েন করতে হয়।
প্রথমে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত দম্পতিকে গুলি করে খুন করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেই মতো গ্রিল বেয়ে ছাদের দরজা বেয়ে ওঠে ২ জন। এর পর ঘরে ঢুকতে গেলে আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় পরিবারের এক সদস্যের।
ওদিকে কোনওক্রমে পালিয়ে বাড়ির পাশে একটি ঝোপে আশ্রয় নেয় বান্টি ও ভাড়াটে খুনি অজয় দাস। এরই মধ্যে বাড়ির বাইরে তল্লাশি করতে বেরোন প্রৌঢ় দম্পতি। তখন ভাড়াটে খুনি অজয়কে গুলি চালাতে বলে বান্টি। কিন্তু অজয় জানায় প্রথম চেষ্টা সফল হয়নি। তাই এখান থেকে সবার নজর এড়িয়ে চলে যাওয়াই ভাল। সেকথা শোনেননি বান্টি। তিনি অজয়ের কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে পর পর গুলি করেন শ্বশুর ও শাশুড়িকে। গুলি লাগে মাথায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন ২ জন।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, লীলারানি দেবীর নামে থাকা ৩ কাঠা জমি লিখে দেওয়ার জন্য খুব চাপাচাপি করছিলেন বান্টি। তা নিয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে বিবাদও হয় তার। ওদিকে বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তের। পাওনাদাররা তাগাদা দিচ্ছিল। তাই শ্বশুর – শাশুড়িকে খুন করে সে।