হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ডের বীভত্সতা এবার খোদ বাংলায়। দক্ষিণ দিনাদপুরের কুমারগঞ্জে উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত কিশোরীর দগ্ধ দেহ। দেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে শনাক্ত করতে হয় কানের দুল দেখে। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরীর পরিবারের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাকে।
সোমবার ভোরে ক্ষেতে যাওয়ার সময় কালভার্টের নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কালিয়াগঞ্জের সাফানগরের অশোকগ্রামের কয়েকজন চাষি। নীচে নেমে দেখেন, সেখানে তখনও পুড়ছে একটি দেহ। খবর যায় পুলিশে। কুমারগ্রাম থানার বাহিনী এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দেহটি একটি কিশোরীর। রবিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। চাদর কিনব বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের পর খুন করা হয় কিশোরীকে। এর পর দেহ ক্ষতবিক্ষত করে কালভার্টের নীচে হিউম পাইপে ঢুকিয়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দেহটিতে। গোটা ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যার পর। অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে না পারলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে স্থানীয় অশোকগ্রামে জলসার আসরে বসেছিল মদ ও জুয়া। সেখানে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ওই কিশোরীকে। তদন্তে নেমে মেহেবুব মিয়া, গৌতম বর্মন ও পঙ্কজ বর্মন নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বয়স ২০ – ২২-এর মধ্যে।