তখন মধ্যরাত। খড়গপুর আইআইটি তখন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জ্বলছে। আর সেই আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে গেল লালবাহাদুর শাস্ত্রী (এলবিএস) হলের কমন রুম। সেখানে থাকা প্রচুর জিনিসপত্র এখন ছাইতে পরিণত হয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, খড়গপুর এবং সালুয়া থেকে দমকলের ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে খবর। কী করে আগুন লাগল? সেটা যদিও স্পষ্ট নয়।
এদিকে আগুন যখন লেগেছিল তখন গোটা ক্যাম্পাস ঘুমিয়ে ছিল। সেখানে পড়ুয়াদের বেশ কিছু জিনিস রাখা ছিল। তাতে আগুন লাগতেই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে দমকলের ইঞ্জিন যখন এসেছিল তখন আইআইটি চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। আগে খড়্গপুর থেকে দমকল আসে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না বলে সালুয়া থেকে আরও দমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। তবে একঘণ্টার কিছু বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত প্রায় ৩টের সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
অন্যদিকে এই আগুনের লেলিহান শিখায় যখন তপ্ত হয়ে ওঠে খড়গপুর আইআইটির ক্যাম্পাস তখন শোরগোল পড়ে যায়। যাঁদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁরা ছুটোছুটি করতে শুরু করেন। সেখান থেকেই আগুনের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় দমকল দফতরে। তাঁরা এসে আগুন নেভানোর জোর চেষ্টা শুরু করেন। এখানের কমন রুমে দাহ্য বস্তু ছিল বলে জানতে পেরেছেন দমকল কর্মীরা। তাতেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। আর তখন থেকেই বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করল।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থীতে থাকছে তৃণমূলের চমক, যোগ–বিয়োগে কারা কোথায়?
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২১ সালেও খড়গপুর আইআইটির ক্যাম্পাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সুতরাং আগুন লাগার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এখানে। কত টাকার ক্ষতি হল সেটা এখনও হিসেব করা হয়নি। তবে বড় বিপদ থেকে সবাই রক্ষা পেলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর আজ, রবিবার সেখানে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমনকী আজ এখানে এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার বামকুমার চৌধুরী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আইআইটির এলবিএস হলের স্টোর রুমে আগুন লেগেছিল। দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। কোন হতাহতের খবর নেই।’