প্রথমে কোভিশিল্ডের ডোজ। তারপর দ্বিতীয় ডোজে দেওয়া হল কোভ্যাক্সিন। একই ব্যক্তিকে দু'বার দুই রকমের ডোজ দিয়ে দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনাটি ঘটেছে। গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। কীভাবে এতবড় ভুল ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াধরার বাসিন্দা শ্যামলাল সাউ গত ৫ এপ্রিল কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ৮৪ দিন পর ২৮ জুন যখন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে যান হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে কোভিশিল্ডের বদলে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। সার্টিফিকেট আসার পরে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি পরিবারের লোকেরা জানার পরেই শ্যামলালের ছেলে অভিষেক গোটা বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, ‘যদি বাবার কিছু হয়ে যায়, তাঁর দায় কে নেবে? কোনও মানু্যের ক্ষেত্রে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে সচেতন করা প্রয়োজন।’ ইতিমধ্যে শ্যামলালের পরিবারের তরফে যে সব স্বাস্থ্যকর্মী টিকা দানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই ঘটনা চাউর হতেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালের মতো জায়গায় কীভাবে এই ধরনের ভুল হতে পারে?