'দিদিকে বলো' কর্মসূচির ফলে কিছুটা ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়েছে। সেই 'সাফল্য'-এর পর দলের জনসংযোগ আরও বাড়াতে এবার নয়া কর্মসূচি চালু করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম 'বাংলার গর্ব মমতা'।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কর্মসূচি চালু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।১১ টি ধাপে তিনটি পর্যায়ে ৭৫ দিন ব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। প্রায় এক লাখ তৃণমূল নেতা-কর্মী সাত হাজার গ্রামে কর্মসূচির প্রচার করবেন। যাবেন মানুষ বাড়িতে। বোঝাবেন, রাজ্যের উন্নয়নে মমতা কেন জরুরি। বাংলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত রুখতে বিজেপি পারেন একমাত্র মমতাই। জোর দেওয়া হবে জনসংযোগে।
সেই কর্মসূচির রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ থেকে প্রথম ধাপে 'বাংলার গর্ব মমতা' চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে সেই জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে আগামী ২০ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। সেই ধাপে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় 'বঙ্গধ্বনি' যাত্রা করবে তৃণমূল। শেষ ধাপের কর্মসূচি চলবে ২০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত। তখন পদাতিক সম্মেলন করবে তৃণমূল। ১,৫০০ কিমি পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে পুরভোট হলেও আসলে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছেন মমতা। সেইমতো ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। 'দিদিকে বলো'-র ফলে তৃণমূলের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হয়েছে তা কয়েকটি উপনির্বাচনের ফল থেকেই স্পষ্ট হয়েছে। বেড়েছে জনসংযোগও। আর এটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তৃণমূলে মমতা ছাড়া আর বিকল্প কোনও মুখ নেই। মমতার ক্যারিশমার উপর তৃণমূলের ভোট ভাগ্য নির্ভর করবে। তাই তৃণমূল সুপ্রিমোকে সামনে রেখে নয়া কর্মসূচি চালু করে ভোট বৈতরণী পার করাই লক্ষ্য বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
পাশাপাশি, 'দিদিকে বলো' মূলত পরিষেবামূলক অভাব-অভিযোগ জানানোর কর্মসূচি ছিল। আর বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে এবার পুরোদমে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল।