বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তবে কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি তুলেছেন পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সন্ধান শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গঠিত সার্চ কমিটি। এই কমিটিতে রয়েছেন অধ্যাপিকা কুমুদ শর্মা। এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ বিশ্বভারতীর একাংশের দাবি, কুমুদ শর্মা আরএসএসের ঘনিষ্ঠ। তা ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের অনুরোধ সুকান্তর
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিশ্বভারতীতে কর্মসমিতির বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে অধ্যাপিকা কুমুদ শর্মার নাম সার্চ কমিটিতে রাখার বিষয়টি গৃহীত হয়েছে।ওই বৈঠকে স্থায়ী উপাচার্য নির্বাচনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা কুমুদ শর্মা। তিনি একজন সাহিত্যিক। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার তাঁর সাহিত্যের জন্য। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন। গত ১৬ নভেম্বর দিল্লিতে শিক্ষা মন্ত্রকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। সেখানে বিতর্কিত ফলক সরানো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে পরবর্তী ও স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কথা বলেছে শিক্ষা মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার কুমুদকে সংঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ ওঠায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি ঘনিষ্ঠ কাউকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলে একাংশের দাবি। যদিও এ বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। তাকে ঘিরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে আশ্রমিকদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন ছাত্র শিক্ষকরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও উপাচার্য পদ ছাড়েননি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অবশেষে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ায় বেজায় খুশি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা। এখন তারা চাইছেন যোগ্য কোনও ব্যক্তিকে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য করা হোক।