নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে পাওয়া গিয়েছে দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিলের ফটোকপি। চার্জশিটে সেকথা উল্লেখ করেছে ইডি। এর তথ্যকে হাতিয়ার করে বুধবার বিজেপির সহ সভাপতিকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা দম থাকলে সিআইডি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন দিলীপবাবু।
এদিন মমতার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তদন্ত হবে তো আগে, তার পর তো গ্রেফতার হবে। ওনার নামে তো অনেক আগে থেকে শোনা গিয়েছে। এখন তৃণমূলের সবাই প্রায় সিবিআইয়ের চা খাচ্ছে। অন্য লোকেরা কেন খাচ্ছে না সেটা ওদের দুঃখ’।
দিলীপবাবুর সাফ কথা, ‘আমি তো বলেছি, আমার দলিল। আমি দিয়েছি। কারও বাপের টাকায় আমি ফ্ল্যাট কিনিনি। যেখানে কিনেছি, সেখানকার সোসাইটির ও হচ্ছে প্রধান। ওকেই তখন জানতাম আমি। ওকে বললাম, তুমি আমার মিটারের নাম পালটে দেও। যে দলিল আমার ব্যাঙ্কে আছে, তারই একটি কপি আমি ইলেক্ট্রিক মিটারের নাম বদল করতে দিয়েছিলাম ওকে। আমি প্রকাশ্যে বলছি’।
এর পর তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘ওদের মতো চোর নই যে পার্থবাবু ধরা পড়ে গেল, ও আমাদের কেউ নয়। অর্পিতাকে আমি চিনি না। তা বলছি না। আমি ওখানে ফ্ল্যাট কিনেছি পয়সা দিয়ে। সরকারি ঋণ নিয়েছি। এবং নাম পরিবর্তনের জন্য ও যেহেতু সোসাইটির ওখানে ইনচার্জ, তাই দিয়েছি। কোনও লুকানোর ব্যাপার নেই। আমি তো বলছি, সিআইডি আছে তো তোমাদের হাতে। তদন্ত করাও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দম থাকলে’।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অর্পিতার ঘরে দলিল পাওয়া গিয়েছে বলে সে গ্রেফতার। কিন্তু বিজেপি নেতার নামে দলিল পাওয়া গেলে কোনও ব্যাপার নয়। ছোট ছোট ভুল হলেও সিবিআই–ইডি দিয়ে তদন্ত করছে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কারও দলিল মিললে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্তর বাড়ি থেকে বিজেপি নেতার বাড়ির দলিল মিলেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না?’