সাংসদ দেবের ভাই তিনি। তবু নেই রেশন কার্ড। লকডাউনের মধ্যে জোটেনি ত্রাণও। অভিযোগ, ২ দিন অনাহারে থাকার পর সেকথা স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বকে জানানোর পর কিছু ত্রাণ মেলে। তৃণমূলের তরফে গাফিলতি অস্বীকার করেছেন বিধায়ক শিউলি সাহা।
মেদিনীপুর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কেশপুরে মহিষদা গ্রামে বাস সাংসদ দীপক অধিকারীর পরিবারের। সেখানেই থাকেন সাংসদের জ্যাঠা বিষ্ণুপদ অধিকারীর ছেলে বিক্রম। পেশায় বাসের কনডাক্টর তিনি। মহিষদা গ্রামে বৃদ্ধা মা, ২ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস তাঁর। অভিযোগ, রেশনের চাল না-মেলায় ২ দিন হাঁড়ি চড়েনি পরিবারে। আধপেটা খেয়ে ছিল বৃদ্ধা ও শিশুদুটি সহ গোটা পরিবার।
দেবের জ্যাঠতুতো দাদা বিক্রম জানান, গ্রামের সবার সঙ্গে আমরাও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করি। সবার রেশন কার্ড এলেও আমাদের কার্ড আসেনি। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও তাই রেশন পাইনি। শুনেছিলাম যাদের কার্ড নেই তারাও রেশন পাবে। কিন্তু তার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। ত্রাণের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে কুপন চাইতে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, ‘তুই সাংসদের দাদা, তোর আবার রেশনের কী দরকার?’
অবশেষে উপায়ন্তর না দেখে কেশপুরে যান বিক্রম। সেখানে পরিচিত সিপিএম নেতাদের পরিস্থিতির কথা জানান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণের ব্যবস্থা করে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। কিছু চাল-ডাল-আটা-আলু ও তেল দেওয়া হয় পরিবারটিকে।
ওদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি বলেন, ‘উনি দল বা প্রশাসনের কারও কাছে ওনার প্রয়োজনের কথা জানাননি। জানালে নিশ্চই ব্যবস্থা হত। সিপিএম এখন ওকে দিয়ে এসব বলাচ্ছে।’