রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ উঠে থাকে। কখনও কম রেশন সামগ্রী দেওয়া অথবা রেশন না দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া বা গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অথবা নিয়মিত রেশন দোকান না খোলার অভিযোগ প্রায়ই উঠে থাকে। এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মাঠে নেমেছে খাদ্য দফতর। এর জন্য ‘উপভোক্তা সম্পর্ক অভিযান’ শুরু করা হয়েছে খাদ্য দফতরের তরফে রবিবার পর্যন্ত চলে এই অভিযান। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে খোদ এই অভিযানে নামতে দেখা যায়। আর খাদ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। এরকমই অভিযোগ পেয়ে বারাসত উপভোক্তাদের জন্য নতুন রেশন ডিলার নিয়োগ করতে মহাকুমা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিককে নির্দেশ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:‘রেশন দোকানে মদ বিক্রি করা যাবে না’, ডিলারদের সাফ জানিয়ে দিলেন খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার বারাসতের বিভিন্ন জায়গায় ৬টি রেশন দোকান পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী। এদিন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন খাদ্য দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকরা। প্রথমে এদিন মহাকুমা স্তরের আধিকারিকরা অভিযানে নামেন। বারাসতে ডাকবাংলো মোর সংলগ্ন কনজিমার কো-অপারেটিভের ৮ নম্বর রেশন দোকান পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি রেশন ডিলারদের ঘরে মজুদ থাকা খাদ্যের পরিমাণ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে খাদ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে অনেকেই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
সেই অভিযোগ পাওয়ার পর ডিলারকে দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে বলেন। বারাসতের অশ্বিনিপল্লির ৫০ নম্বর রেশন দোকানেও যান খাদ্যমন্ত্রী। সেখানে টাকার বিনিময়ে রেশন সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ শোনার পরে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। এছাড়া গোবিন্দ ব্যারাকে আরও একটি রেশন দোকানে আসেন খাদ্যমন্ত্রী। সেখানেও ঠিকমতো সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এক্ষেত্রে সার্ভারের সমস্যার কথা জানান ডিলার। তবে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ওই ডিলারের বিরুদ্ধে খোদ অভিযোগ তোলেন। তারপরে কৈফিয়ত চান রথীন ঘোষ।
এভাবেই একাধিক রেশনের দোকান ঘুরে দেখে সমস্যার হাল হাকিকত জেনে সমাধানের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ থেকে থাকে। সেই অভিযোগ সরাসরি জানার জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এরপরেও সমস্যার সমাধান না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।