রেললাইনে মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তাঁর স্বামীকে। স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে। রবিবার ঝাড়গ্রামের সরডিহা রেলস্টেশন সংলগ্ন ধাতকিনালা গ্রামের কাছে রেললাইন থেকে পুলিশ কনস্টেবল সুষমা মাহাতোর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করে জিআরপি। তাঁর স্বামী ভবতোষ মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের মা। এর পরই শুক্রবার ভবতোষকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত ভবতোষের বিরুদ্ধে খুন ও বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছে জিআরপি। এদিনই তাঁকে আদালতে হাজির করেছে রেলপুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে মৃত সুষমার ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করার অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, এ ঘটনা কোনওমতেই আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে সুষমাকে। এই মর্মে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুষমার মা মাধবী মাহাতো। তার পরই গ্রেফতার করা হয় ভবতোষকে।
এ ঘটনার ব্যাপারে এদিন সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল জানিয়েছেন, মহিলা পুলিশ কন্সটেবলকে খুনের দায়ে তাঁর স্বামী ভবতোষকে শুক্রবার গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ৪ দিনের জন নিজেদের হেফাজতে ধৃতকে চায় পুলিশ। সেই দাবি মঞ্জুর করেছেন বিচারক।